বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হ্যাম্পটনে জীবন গঠন
৮১

বেতন পাইতাম। কিন্তু বেতনের লোভেই আমি ম্যাল্‌ডেনে খাটিতাম না। নিগ্রো সমাজের উন্নতির জন্য আমার আন্তরিক ব্যাকুলতাই আমার এই কর্ম্মতৎপরতার কারণ ছিল।

 আমি যতদিন লেখা পড়া শিখিতেছিলাম, ততদিন আমার দাদা ‘জন’ আমাদের পরিবারের খরচ চালাইবার জন্য কয়লার খাদে কাজ করিয়াছেন। মাঝে মাঝে আমি তাঁহার নিকট অর্থ সাহায্যও পাইয়াছি। আমার শিক্ষা লাভের জন্য তিনি নিজের বিদ্যার্জ্জনের ইচ্ছা ত্যাগ করিয়াছিলেন। কাজেই আমি হ্যাম্পটন হইতে ফিরিয়া আসিয়া জনকে হ্যাম্পটনে পাঠাইতে কৃতসঙ্কল্প হইলাম। তিন বৎসরে তিনিও হ্যাম্পটনের বিদ্যা শেষ করিয়া আসিলেন। পরে তিনি আমার টাস্কেজী বিদ্যালয়ের শিল্প বিভাগের কর্ত্তা হইয়াছেন। জন যখন হ্যাম্পটন হইতে আসিলেন তখন আমরা দুই জনে মিলিয়া আমাদের পোষ্য ভাই জেম্‌স্‌কে হ্যাম্পটনে পাঠাইয়া ছিলাম। জেম্‌স্‌ও লেখা পড়া শিখিয়া আমার টাস্কেজী বিদ্যালয়ের ডাক ঘরের কর্ত্তা হইয়াছে।

 ১৮৭৬।১৮৭৭ সাল ম্যাল্‌ডেনে একরূপেই কাটিল। স্কুল পড়ান, পল্লীপর্য্যবেক্ষণ, লোকশিক্ষা ইত্যাদি নানাবিধ কাজে আমার সময় ব্যয় হইত। প্রায় এই সময়ে আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ মহলে কয়েকটা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। তাহারা নিগ্রোজাতির রাষ্ট্রীয় অধিকারলাভের আকাঙ্ক্ষায় বাধা দিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইল। এই সমিতিগুলির নাম ছিল ‘কু ক্লুক্‌স’। গোলামীর যুগে এইরূপ কতকগুলি শ্বেতাঙ্গ সমিতি ছিল। তাহারা