পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃহ কোণে নিয়ে কেউ বাসা বাধে নাকি, দারোয়ানের সঙ্গে ছেলেটীর কি যেন কথা হোল, তারপর দারোয়ানজী নিজেই হোলড-অল আর সুটকেশটাকে ঘাড়ে করে ওপরে উঠতে লাগলো, কতই মেন পরিচিত এই বাড়ী, মেয়েট তাড়াতাড়ি উপরে উঠে এলো | পাশের ফ্ল্যাটের দরজায় এসে তোলড-অল আর সুটকেশটা নামিয়ে দারোয়ানজী চাব খুলে হুজুরদের সেলাম করলো । সুমিত্র নিলিপ্তভাবে রাস্তার দিকে ফিরে দাড়ালো । আজ নিরঞ্জনের আসতে দেরী হচ্ছে, হয়ত কোনও মস্কেলের হাতে পড়েছে, নয়ত অরেঞ্জ রঙের উল পাওয়া যাচ্ছেনা, দোকানে দোকানে খুজতে নিরঞ্জনের দেরী হচ্ছে । অবশেষে সাতটার পর নিরঞ্জন ফিরলো, সুমিত্রা তখনও জানালার ধারে দাড়িয়ে, নিরঞ্জনের আবির্ভাব সে অনুভব করেনি, তাই নিরঞ্জন যখন তাকে জানালার ধারে আবিষ্কার করলে তখন সুমিত্রা রীতিমত লজ্জিত হয়ে পড়লো । উৎসাহে উচ্ছসিত হয়ে সুমিত্রা বলল—জানো আজ আমাদের পাশে কারা এসেছে ? নুতন ভাড়াটে— —তাই নাকি ! কিন্তু— —তুমি বুঝি দেখতে পেলে না, সত্যি—ভারী ছেলে মানুষ, কি করে যে সংসার করবে কে জানে ? আসবাবের ভেতর একটা হোলড-অল আর সুটকেশ । এই নিয়ে কি কেউ বাসা করে ? —তা হয়ত করে, ওদের অভিজ্ঞতায় তোমার এই অনাস্থার কারণ কি ? —ওটা কি, ও উল এনেছো বুঝি, তাই বুঝি এত রাত হোল— আচ্ছা, কি বুদ্ধি তোমার, যখন পেলেন সোজা বাড়ী চলে এলেনা কেন ! আর একদিন ছুটীর দিনেই না হয় কিনে আনতে ।

  • ○8