পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জু ন গৃহ কোণে সে রাতেও সুমিত্রা নিরঞ্জনকে এ ঘটনা জানালো না, রাতে বিনিদ্র শয্যায় মেয়েটির কথাই বার বার স্বমিত্রার মনে পড়তে লাগলো। অদ্ভূত এই মেয়েটি, যেমন সুশ্ৰী তেমনই সরল ওর ব্যবহার । স্থমিত্রার মায়া পড়েছে অতুর ওপর, হয়ত অনুপমা, কিংবা অনীতা ওর নাম হবে । কে জানে সুমিত্রার যদি মেয়ে থাকতে সে কি অনুপমার বয়সী হোত, হয়ত কিছু ছোট হত, যাহোক এতদিনে তবু একজন সঙ্গী পাওয়া গেল, মেয়েটিকে স্বমিত্রা কাজ শেখাবে, মেয়েটিকে সংসার করতে শেখাবে। নিরঞ্জনের সকল ব্যাপারেই কেমন অকারণ ঔদাসীন্য । আজ প্রথম স্থমিত্রা নিরঞ্জনের ওপর রাগ করলে এবং অমুদের সব কিছুই ওর কাছে সুন্দর ও পরম রমণীয় বলে মনে হতে লাগলো । সে রাত্রিতে কিছুতেই সুমিত্রার চোখে আর ঘুম এলো না । পরের দিন স্থমিত্রা অমুদের ঘরে যাবে কি না ভাবছে ঠিক সেই সময় মস্ত একখানি গাড়ি এসে থামলো, অতবড় গাড়ি এ পাড়ায় কেন এলো সুমিত্রা কৌতুহলী হয়ে তাই দেখতে লাগলো। চাপরাশ পর এক আৰ্দ্দালী সসন্ত্রমে দরজা খুলে দাড়াতেই বেরিয়ে এলেন সৌম্যদর্শন প্রৌঢ় ভদ্রলোক, দেহটি স্থল হলেও উজ্জল, প্রশস্ত ললাটে প্রতিভার পরিচয় আছে, পাশের ফ্ল্যাটে তিনি অদৃশু হয়ে গেলেন, তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই অমু ও তার স্বামী এবং সেই প্রৌঢ় ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন ফ্ল্যাট থেকে, পেছনে চাকরের মাথায় স্থমিত্রার পরিচিত সেই হোল্ডঅল ও স্কটকেশ। সকলে অকুষ্ঠিতচিত্তে গাড়িতে উঠে পড়লো, শুধু চকিতে অনুর চোখ স্থমিত্রার মুখের দিকে পড়তে সে হাত দুটি তুলে স্থমিত্রাকে নমস্কার জানালে— 8 с