পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y Do নির্বাসিতের আত্মকথা বের দৈব শক্তি সম্বন্ধে যে সব চমৎকার গল্প প্রচারিত হইতে লাগিল তাহা শুনিয়া কয়েদীদের বুক আশায় দশ হাত হইয়া উঠিল। এনভার বে তোপের সম্মুখে দাড়াইলে নাকি খোদার কোদািরতে তোপের মুখ বন্ধ হইয়া যায়। তিনি আবার নাকি পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়িয়া একদিন মুলতান সরিফে আসিয়া অচিরে জগদ্ব্যাপী মুসলমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার আশা দিয়া গিয়াছেন। জাৰ্ম্মানীর বাদশাও নাকি কলম পড়িয়া মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছে । এ সব কথার প্রতিবাদ করিয়া কয়েদীদের বিদ্বেষভাজন হওয়া ছাড়া আর অন্য কোনও ফল নাই দেখিয়া আমরা চুপ করিয়া থাকিতাম। তবে যথাসম্ভব সত্য ব্যাপার জানিবার জন্য সংবাদ পত্র জোগাড় করিবার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়া গেলাম। গদর দলের শিখেরা পোর্টব্লেয়ারে কয়েদ হইয়া আসিবার পর পাছে জেলের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গম হয়, সেই ভয়ে জেলে পাহারা দিবার জন্য দেশী ও বিলাতী পণ্টন আমদানি করা হইয়াছিল । বিলাতী পণ্টনের মধ্যে আইরিস অনেক ছিল । আর তাহারা যে ইংরেজের বিশেষ শুভার্থী ছিল তাহাও নয় । সুতরাং সংবাদপত্র সংগ্ৰহ করা একেবারে অসম্ভব ছিল না। তা” ভিন্ন নূতন নূতন যে সমস্ত রাজনৈতিক কয়েদী আসিতে লাগিল তাঁহাদের নিকট হইতেও দেশের অবস্থা বুঝিতে পারিতাম। এমডেন ধরা পড়িবার পরে একটা গুজব শুনিয়াছিলাম যে ঐ জাহাজে যে সমস্ত কাগজপত্র পাওয়া গিয়াছিল তাহার মধ্যে পোর্টব্লেয়ারের একটা প্ল্যান ছিল ; বােধ হয় ভবিষ্যতে কোনরূপ আক্রমণের ভয় হইতে উদ্ধার পাইবার জন্য পোর্টব্লেয়ারে সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করা হইয়াছিল ও দুই চারিটা তোপেরও আমদানি করা হইয়াছিল। পোর্টব্লেয়ারে মিলিটারী পুলিসের মধ্যে পাঞ্জাবীর সংখ্যাই অধিক,