পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r" নির্বাসিতের আত্মকথা দুই তিন দিন বেশ মোটা মোটা থুতসিক্ত রুট ও অড়হর ডাল ধ্বংস । করিয়া আমরা তঁহার আশ্রম হইতে বাহির হইয়া পড়িলাম। বারীন্দ্ৰ কিন্তু নিরুৎসাহ হইবার পাত্র নয়। আমায় বলিল-দেখা-গিরিডির কাছে কোথায় একজন ভাল সাধু আছেন শুনিয়াছি। তুমি একবার সেইখানে গিয়া খোজ করা; আর রান্তায় কাশীতেও একবার ঢু মারিয়া যাইও । আমি এই অঞ্চলে আরও দিন কতক দেখি।” আমি ‘তথাস্তু বলিয়া গিরিডি যাত্রার নাম করিয়া সটান মানিকতলায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম। দিন কয়েক পরে শুনিলাম-বারীন আর একটী সাধুকে পাকড়াও করিয়াছে। ১৮৫৭ সালে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় তিনি ঝানসীর রাণীর পক্ষ হইয়া ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তারপর সাধু হইয়া চুপচাপ। এতদিন সাধন-ভজন করিতেছিলেন ; বারীত্রের সংস্পর্শে আবার সেই বহুদিনের নির্বাপিতপ্রায় অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দপ করিয়া জ্বলিয়া উঠিল। বারীন্দ্র তাহাকে বলিল—“ঠাকুর, তুমি আমায় একখানা গেরুয়া কাপড় আর কাণে যা হয় একটা মন্তর ফুকে দাও ; বাকি সবটা আমিই করে নেব।” সাধু বারীনকে বড় ভালবাসিতেন ; তিনি তাহতেই রাজী হইলেন, বারীন সাধুর নিকট যথাশাস্ত্ৰ মন্ত্রদীক্ষা লইল। কিছু দিন পরে বারীনকে জিজ্ঞাসা —“সাধু কি মন্ত্র দিলেন ?” বারীন্দ্ৰ বলিল—“ভুলে মেরে দিয়েছি।” যাই হোক বারীন্দ্র তাঁহাকে লইয়া মধ্যভারতের কোনও তীৰ্থস্থানে একটা আশ্রয় গড়িবার সংকল্প করে ; কিন্তু অল্পদিনের মধ্যে জলাতঙ্করোগে বাবাজীর মৃত্যু হওয়ায় সে সংকল্প আর কাজে পরিণত হইল না। কিছুদিন পরে বারীন্দ্র আর একজন সাধুর নিকট হইতে সাধন লইয়া দেশে ফিরিল। ঐ সাধুটী মধ্যভারত ও বোম্বাই অঞ্চলে একজন