পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 নির্বাসিতের আত্মকথা কুঠরীতে আবদ্ধ করিয়া তাহার রাজনৈতিক মতামতের সংস্কার করিতে चांge लिन । সপ্তাহের মধ্যে আসিয়া হাজির হইলেন শ্ৰীমান দেবব্রত। প্রায় একবৎসর পূৰ্ব্বে তিনি যুগান্তরের সহিত সম্বন্ধ পরিত্যাগ করিয়া। নবশক্তির সম্পাদকের কাজ করিতেছিলেন। নবশক্তি' উঠিয়া যাওয়ার পর * আপনার সাধন ভজন লইয়াই বাড়ীতে বসিয়া থাকিতেন । বাহিরের লোকের সহিত বড় একটা দেখা শুনা করিতেন না । চলমান পর্বতবৎ তিনিও একদিন সুপ্ৰভাতে জেলে আসিয়া হাজির হইলেন । পুলীস কোটে শুনিয়াছিলাম যে আমরা যে দিন ধরা পড়ি সে দিন অরবিন্দ বাবুকে ও ধরা হইয়াছিল। কিন্তু আমরা জেলের যে অংশে আবদ্ধ ছিলাম সেখানে তঁহার দেখা পাইলাম না। শুনিলাম তাঁহাকে অন্যত্র আবদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছে। হৃষীকেশকে যে দিন পুলিস ধরিয়া আনে তাহার দুই এক দিন আগে শ্ৰীরামপুর হইতে গোস্বামীদের বাড়ীর নরেন্দ্ৰকেও ধরিয়া আনিয়াছিল। সে আমাদের সহিত এক জায়গায় আবদ্ধ ছিল । আমাদের বাগানে একখানা নোটবুকে একটা নাম লেখা ছিল— চারুচন্দ্র রায় চৌধুরী। খুলনার ইন্দুভূষণকে আমরা চারু বলিয়া ডাকিতাম। পুলিস তাঁহা না জানিয়া চারুচন্দ্র রায় চৌধুরীকে খুজিয়া বেড়াইতে লাগিল। শেষে স্থির করিল ষে চন্দননগরের ডুপ্লে কলেজের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্র রায়ই ঐ চারুচন্দ্র রায় চৌধুরী। চারুবাবুর বোধ হয়। অপরাধ যে কানাইলাল দত্ত ও আমি উভয়েই তঁহার ছাত্র ও উভয়েরই বাড়ী চন্দননগর। র্যাহার ছাত্রেরা এমন রাজদ্রোহী, তিনি ‘রায়ই হােন, আর ‘রায় চৌধুরী'ই হোন তাহাতে কি আসিয়া যায় ? তঁহাকে ত ধরিতেই হইবে ।