পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ৰষ্ঠ পরিচ্ছেদ। নানা প্রকারের জল্পনা কল্পনা চলিতেছে এমন সময় হঠাৎ একদিন আমাদের অদৃষ্ট খুলিয়। গেল। জেলের কর্তৃপক্ষগণ হুকুম দিলেন যে ১১ ডিগ্ৰী হইতে অন্যস্থানে লইয়া গিয়া আমাদের একত্র রাখা হইবে } ভাগ্য-বিধাতা সহসা এরূপ প্ৰসন্ন হইয়া কেন উঠলেন তাহা তিনিই জানেন ; কিন্তু আমরা তা হাসিয়াই খুন!! আলিঙ্গন, গলা জড়ােজড়ি, লাফালাফি আর চীৎকার থামিতেই এক ঘণ্টা কাটিয়া গেল। তাহার পর প্ৰকৃতিস্থ হইয়া দেখিলাম যে, তিনটি পাশাপাশি কুঠরীতে আমাদের রাখ: হইয়াছে ; তাহার মধ্যে পাশের দুইটা ছোট ; আর মাঝেরটা অপেক্ষাকৃত বড়। অরবিন্দ বাবু ও দেবব্রতের মত র্যাহারা অপেক্ষাকৃত গম্ভীর-প্ৰকৃতি তাহারা পাশের দুইটা কুঠরীতে আশ্রয় লইলেন ; আর আমাদের মত “চ্যাংড়া।” যাহারা, তাহারা মাঝের বড় কুঠরীটী দখল করিয়া সৰ্ব্বদিনব্যাপী মহোৎসবের আয়োজন করিতে লাগিল। মেদিনীপুরের শ্ৰীযুক্ত হেমচন্দ্ৰ দাসও আমাদের সঙ্গে আসিয়া জুটলেন। হেমচন্দ্রের সহিত পূর্বে কখনও বিশেষ ভাবে পরিচিত হইবার অবসর পাই নাই ; এবার, কাছে আসিয়া দেখিলাম, যে, যাহাদের মাথার চুল পাকে, বুদ্ধিও পাকে, কিন্তু বয়স বাড়ে না, হেমচন্দ্র তাঁহাদের মধ্যে একজন।. অসাধারণ শক্তিমত্তার সহিত বালসুলভ তরলতা মিশিলে যে অদ্ভুৎ চরিত্রের স্বষ্টি হয়, হেমচন্ত্রের