পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R নির্বাসিতের আত্মকথা একেবারে ছাপার অক্ষরে ঐ কথাগুলা দেখিয়া আমার মনটা उद्धा' कब्रिध्र प्रां5िनः ठठेिल । সে কালের নেতারা ভজিতেন বিঙ্গা, অর্ণব বলিতেন পটোল। যখন self-government INC ggs করিতেন, তথ্য গঙ্গার পিছনে colonial কথাটা জুড়িয়া দিয়া শ্যাম ও কুল দুইই। রক্ষা করিতে চেষ্টা করিতেন। তাহাতে আইনও বঁচিত, হাততালিও পড়িত । কিন্তু আমার কেমন পোড়া অদৃষ্টর লিখন! ঐ ছাপার অক্ষর গুলা ভোঁ ভো করিয়া কাণের ভিতর ঘুরিতে ঘুরিতে একেবারে মাথাব্য চড়িয়া বসিল । মনটা কেবল থাকিয়া থাকিয়া বলিতে লাগিল, -“আরে , ওঁঠ, ওঠ, সময় যে হয়ে গেল !” সে রাত্রে আর ঘুম হইল না । শুইয়া শুষ্ঠায়! স্থির করিলাম, এ সব কথার মূলে কিছু আছে কিনা খোজ লইতে হইবে। সত্যই কি এর সবটা শুধু বচন ? খোজ লইতে বাহির হইয়। যে সমস্ত অদ্ভুত অদ্ভুত গুজব শুনিলাম, তাহাতে চক্ষু স্থির হইয়া গেল। পাহাড়ের কোন নিভ ত গহবরে বসিয়া নাকি লাখ দুই নাগা সৈন্য তলোয়ার সানাইতেছে ; হাতিয়ার সবই মজুত, ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশও নাকি প্ৰস্তুত ; শুধু বাঙলা পিছাইয়া আছে বলিয়া তোহার কাজে নামিতে একটু বিলম্ব করিতেছে। হবেও বা ! সেই সমগ্ৰ কলিকাতা হইতে “যুগান্তর’ কাগজখানা বাহির হইতে আরম্ভ ইয়াছে। লোকে কানাকানি করে যে যুগান্তরের আডিডাটা নাকি একটা বিপ্লবের কেন্দ্র। বিপ্লবের নাম শুনিয়াই অনেক যুগের সঞ্চিত রোমান্স আমার মনের মধ্যে ঢেউ খেলিয়া উঠিল; ফ্রান্সের ব্লবসপিয়ের হইতে আরম্ভ করিয়া আনন্দমঠের জীবানন্দ পৰ্যন্ত সবাই এক একবার মনের মধ্যে উকি মারিয়া গেল। এ দেশে যাহারা বিপ্লব আনিবে, ভবিষ্যৎ স্বাধীন ভারতের ষােহারা মূৰ্ত্ত বিগ্ৰহ, সেগুলি কি