পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

àOR निरीनि८ऊन्। আত্মকথা ছিল না !! এবং প্ৰায় প্রত্যেক দলই আপনাকে ‘আদি ও অকৃত্রিম’ ৰলিয়া প্ৰমাণ করিবার জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে সত্য মিথ্যা অভিযাগ উপস্থিত করিত। এই প্ৰতিষ্ঠা লাভের চেষ্টার সহিত প্ৰাদেশিক ঈর্ষা মিশিয়া ব্যাপারটাকে বেশ বীভৎস করিয়া তুলিত। জাতীয় সম্মিলন ও ভারতীয় একতার দোহাই দিয়া কত অদ্ভুত জিনিষ যে পাচার করিবার চেষ্টা হইত। তাহার আর ইয়ত্ত্বা নাই। মারাঠী নেতারা মাঝে মাঝে প্ৰমাণ করিতে বসিতেন যে যেহেতু বঙ্কিমচন্দ্রের “বন্দেমাতরম” গানে সপ্তকোটী কণ্ঠের কথা আছে, ত্ৰিশ কোটী কণ্ঠের কথা নাই, এবং যেহেতু বাঙ্গালী কবি লিখিয়াছেন “বঙ্গ আমার, জননী আমার” সেই হেতু বাঙ্গালীর জাতীয়তাবোধ অতি সঙ্কীর্ণ। একজন পাঞ্জাবী আৰ্য্যসমাজী নেতা তাহার বাঙ্গালী বিদ্বেষ প্রচার করিবার আর কোন রাস্তা না পাইয়া একদিন বলিয়াছিলেন যে, যেহেতু রামমোহন রায় এদেশে ইংরাজী শিক্ষা প্রচলন করিবার জন্য ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টকে পরামর্শ দিয়াছিলেন। সেহেতু তিনি দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক ! এরূপ যুক্তির পাগলা-গারদ ভিন্ন আর অন্য উত্তর নাই। মারাঠী নেতাদের মনে এই বাঙ্গালী বিদ্বেষের ভাবটা কিছু বেশী প্ৰবল বলিয়া মনে হয়। ভারতবর্ষে যদি একতা স্থাপিত করিতে হয় তাহা হইলে তাহা মারাঠার নেতৃত্বেই হওয়া উচিত-ইহাই যেন র্তাহাদের মনোগত ভাব। হিন্দুস্থানী ও পাঞ্জাবীরা গোয়ার, বাঙ্গালী বাক্যবাগীশ, মাদ্রাজী দুর্বল ও ভীরু-একমাত্র পেশোয়ার বংশরেরাই মানুষের মত মানুষ-নানা যুক্তি তর্কের ভিতর দিয়া এই সুরই ফুটিয়া प्लेळिङ । এই সমস্ত অন্তবিরোধের ফলে বহুদিন ধরিয়া ধৰ্ম্মঘট বিশেষ ফলদায়ী হয় নাই। শেষে যখন ইন্দুভূষণ জেলের যন্ত্রণা সহ্য করিতে না পারিয়া আত্মহত্যা করিল, উল্লাসকরা, পাগল হইয়া গেল সেই সময় কিছু দিনের