পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারা আর ফুল। እ እ» Œ দিবারাত্ৰি পান করিতেছে ! - উহারই পরিতপণের জন্য রসভাবের পুষ্টিভেদে, ছয় রাগ, ছয়ত্রিশ রাগিণী এবং তাহাদিগের সংমিশ্রণ-সংস্কৃষ্ঠ অসংখ স্বর। উহারই জন্য বীণার ধীর-মম্বর বিলম্পত ঝঙ্কার, বেণুর হৃদয়হারি বিনোদ নিঃস্বন, এবং সারঙ্গ শরোদ, রবাব, ও সুরবীণ প্রভৃতি অশেষবিন্ধু যন্ত্রের অসংখ্যা প্লেকার স্বর-বিলাস! অথবা এক কথায় এই বলা *R\s5 পারে যে, উহারই পরিতৃপ্তির জন্য সঙ্গীতের সৃষ্টি, এবং শত-শাখা বিস্তারিত সঙ্গীত-শাস্ত্রের ক্রমিক বিকাশ। কিন্তু কিবা কণ্ঠগীত, কিবা প্রকৃতির গভীরতর সঙ্গীত, ইহার কিছুতেই মানুষ্যের অনন্ত-প্ৰধাবিত শ্রুতি-লালসার তৃপ্তি श्डा कि ? দৃষ্টি আর শ্রুতি মনুষ্যের বহিরিান্দ্ৰিয় মাত্র। উহার তথাপি যে এইরূপ মহিমময়ী ও মহাশক্তিশালিনী, মনোবৃত্ত্বিও অথবা অন্তরিান্দ্ৰিয়ের সহিত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই তাহার মুখাকারণ । চক্ষু যাহা পলকে পলকে দেখে, বুদ্ধি তাহা লইয়া বিচার-বিতর্ক করে, হৃদয় তাহার সার-সৌন্দৰ্য্যটুকু আপনার ভাণ্ডারে সঞ্চয় করিয়া রাখে, এবং সেই সঞ্চিত সম্পদে গ্ৰীতি ও কল্পনার পরিতপণ করে। কৰ্ণ যাহা শোনে, প্ৰাণটাই তাহাতে শীতল অথবা সন্ধুক্ষিত হয় ।” কিন্তু মনুষ্যের সেই বিশ্বগ্রাসিনী বুদ্ধি, বিশ্ববিহারিণী গ্ৰীতি, মনুন্যের বিবেক, মনুষ্যের কল্পনা এবং মনুষ্যের আরও বহু মনোবৃত্তি অহোরাত্ৰ