স্মরণ পড়িতেছে না, বিদ্যাসাগর ভায়া ছাপাখানার অংশীদার থাকিতে অনিচ্ছুক হইয়া প্রকাশ করিয়াছিলেন তিনি আর ছাপাখানার অংশ গ্রহণ করিবেন না, যে সকল পুস্তক তিনি রচনা করিয়া দিবেন, তাহার কাপিরাইট তিনি লইবেন, তদ্ভিন্ন অন্যান্য উপস্বত্বের ভাজন আমাকে করিবেন এইরূপ প্রস্তাব করিয়াছিলেন, ফলে বিদ্যাসাগরকে এই কথা জিজ্ঞাসা করিলেই তিনি তাহার সবিস্তার বৃত্তান্ত তোমাদিগে জানাইতে পারিবেন, অতএব উক্ত সময় হইতে কাপিরাইটের হিসাব করা উচিত হয়, তাহার পূর্ব্বে যে কথা ছিল না ও হয় নাই, সে কথার নুতন প্রসঙ্গ করা উচিত হয় ন।”
তর্কালঙ্কারের অভিপ্রায় অবগত হইয়া, সালিস মহাশয়েরা আমায় জিজ্ঞাসিলেন, এক্ষণে আমরা কিরূপ করিব, বল। আমি বলিলাম, তর্কালঙ্কার যেরূপ বলিতেছেন, তাহা, আমার বিবেচনায়, কোনও মতে, সঙ্গত ও ন্যায়ানুগত নহে। কিন্তু তাহাতে আপত্তি করিতে গেলে, কার্য্য শেষ হইবার পক্ষে, অনেক বিলম্ব ঘটিবেক। যত সত্বর হয়, তর্কালঙ্কারের সহিত সর্ব্বপ্রকার সংস্রব রহিত হওয়া আমার সর্ব্বতোভাবে প্রার্থনীয়। অতএব, আপনারা, তদীয় অভিপ্রায় অনুসারেই, সত্বর, কার্য্য শেষ করিয়া দিউন। তখন তাঁহারা বলিলেন, তবে তর্কালঙ্কার যে সময় হইতে কাপিরাইটের হিসাব করা উচিত হয় বলিতেছেন, তাহার পূর্ব্বে যে সকল পুস্তক লিখিত হইয়াছিল, তাহার একটি ফর্দ্দ, আর তাহার পরে যে সকল