8 নীতি রত্নাবলী । কথিত আছে “ মৃগতৃষ্ণ সমং বীক্ষ্য সংসার ক্ষণ ভঙ্গুরং। সজ্জনৈঃ সংগতিং কুৰ্য্যাৎ ধ ੋ মুখায়চ,॥” এই বাক্যট মনে করিয়া সংসারে অবস্থিতিকর। সকলের পক্ষেই উচিত । লোকে সাংসারিক কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়া ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম একেবারেই পরিত্যাগ করিতেছে, তাহার মিথ্যা কথন ও অবৈধ ইন্দ্রিয় সেবন করিতেছে, এবং প্রিয়নাশকে হৃদয়ের শল্য স্বরূপ বিবেচন। বরিয়. শোকে ও মোহে অভিভূত হইতেছে। সংসার কেবল বিষবৃক্ষ, তাহাতে দুইটী মাত্র মুরস ফল বিদ্যমাৰু আছে, একটা কাব্যরূপ অমৃত রসের আস্বাদন, অীর একটা সজ্জনের সহিত সমাগম। যত্বের অসাধ্য কিছুই নাই, অতএব যত্ন পূর্বক ঐ দুইটা মুরস ফলের রসাস্বাদনে যত্নবান হইলে ধৰ্ম্মও তদনুসঙ্গিক সুখ লাভ হইতে পারে সন্দেহ নাই। দুঃখময় সংসারে আসিয়া অবিনশ্বর সুখরত্ব উপাঞ্জন করা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য । যদি বল সেই মুখ কিরূপে উৎপন্ন হয় ? তাহার উত্তর এই ষে, জগদীশ্বরের শুভকর নিয়ম সমুদায় পালন করিলে সেই মুখের উৎপত্তি হয় এবং সজ্জনের সঙ্গ লাভ করিলে সেই মুখ উপাজনে সামর্থ হয়। অতএব হে মানৰগণ এক্ষণে অনন্য কৰ্ম্ম হইয়। সজ্জনের সঙ্গ লাভ কর, কদাচ সাংসারিক কর্মের অত্যন্তাশক্তিতে ছন্দাংশেও গমন করিও না। প্রাণ রূপ বিহঙ্গ কখন কোন
পাতা:নীতি রত্নাবলী.pdf/১৩
অবয়ব