পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ एक १ठ्ठ॥ १फुिल ? এমন সময়ে মজিদ খাঁ দুগ্ধপূর্ণ একটা বড় কাচের পেয়ালা হস্তে কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিলেন। দুগ্ধ হইতে ধূয়া উড়িতেছে। মজিদ দুঃখিতভাবে কহিলেন, “বড় কষ্ট হইতেছে-না ?” শ্ৰীশ রোদনের সুরে কহিল, “বড় কষ্ট-পেট জ’লে গেল-বুক পৰ্যন্ত শুকিয়ে গেছে- হুজুরী-আমি আর বঁাচুব না।” “ভয় কি ?” বলিয়া জানুতে ভর দিয়া মজিদ খাঁ শ্ৰীশের মাথার কাছে বদিলেন। বসিয়া বলিলেন, “এই দুধ টুকু খেয়ে ফেল দেখি ; গায়ে এখনই জোর পাৰে ।” t শ্ৰীশ অনেক কষ্টে () উঠিল। এবং দুধের পেয়ালা নিজের হাতে লইয়া পান করিতে আরম্ভ করিয়া দিল। মজিদ খাঁ নিকটস্থ একখানা চেয়ারে বসিয়া, একটা চুরুট অগ্নিংযোগ করিয়া টানিতে আরম্ভ করিয়া দিলেন। এবং প্রসন্ননেত্রে বালক শ্ৰীশের দুগ্ধ পান দেখিতে লাগিলেন। tহায়, হতভাগ্য মজিদ! তুমি এখনও বুঝিতে পার নাই-কালসর্পকে দুগ্ধ দিয়া পোষণ করিতেছ-এখনই একটু সুযোগ পাইলে । তোমাকেই দংশন করিবে। , , দুগ্ধপান শেষ করিয়া শ্ৰীশ ভাবভঙ্গিতে জানাইল, সে অনেকটা সুস্থ হইতে পারিয়াছে। সুস্থ হইবারই কথা-একসেরের অধিক দুগ্ধ তাহাকে দেওয়া হইয়াছিল।