পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や28 নীল-দৰ্পণ । দন লইয়া রাইয়তের কঁদিতে কঁদিতে বাড়ি যায়, ষে দিবস ষে রাইত দাদন লইয়া আইসে, সে দিবস সে রাইয়তের বাড়িতে মরা কান্না পড়ে । নীলের দ্বারা দাদন পরিশোধ করিয়া ফাজিল পাওয়া হইলেও রাইয়তদের নামে দাদনের বকেয়া বাকি বলিনা খাতায় লেখা থাকে। এক বার দাদন লইলে রাইয়তের সাত পুরুষ ক্লেশ পায়। রাইয়তের নীল করিতে যে কাতর হয়, তাহা তাহরাই জানে আর দীনরক্ষক পরমেশ্বর জানেন । রাইয়তের পাঁচ জন একত্রে বসিলেই পরস্পর নিজ নিজ দাদনের পরিচয় দেয় এবং ব্রাণের উপায় প্রস্তাব করে, তাহারদিগের সলা পরামর্শের আবশ্যক করে না, আপনারাই মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল, এমন রাইয়তে সাক্ষী দিয়া গেল যে, তাহারদিগের নীল করিতে ইচ্ছা ছিল কেবল আমার মকেল তাহারদিগের পরামর্শ দিয়া এবং ভয় দেখাইয় তাহাদের নীলের চাস রহিত করিয়াছে,এ অতি আশ্চৰ্য্য এবং প্রত্যক্ষ প্রতারণt ধৰ্ম্মাবতার । তাহারদিগের পুনৰ্বার হুজুরে আনান হয়, অধীন দুই সোয়ালে তাহারদিগের মিথ্যা শাক্ষ্য প্রমাণ করিয়া দিবে। আমার মক্কেলের পুত্র নবীনমাধব বসু, করলে নীলকর নিশাচরের কর হইতে উপায়হীন চাসাদিগকে রক্ষা করিতে প্রাণপণে যত্ন করিয়া থাকেন, একথা স্বীকার ক্ষরি এবং তিনি উড সাহেবের দৌরাত্ম্য নিবারণ করিতে অনেক বার সফলও হইয়াছেন তাহ পলাশপুর জ্বালান মোকদার নথিতে প্রকাশ আছে । কিন্তু আমার মক্কেল গোল কচন্দ্র বসু অতি নিরীহ মনুষ্য, নীলকর সাহেবদের ব্যাঘ্র অপেক্ষ ভয় করে, কোন লোগের মধ্যে থাকে না, কখন কাহারে। মন্দ করে না, কাহাকে মদ হইতে উদ্ধার করিতে ও সাহসী