বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অঙ্ক।
১২১

নিমিত্তে টাকা রাখিয়া দে” এবৎ পায়ের জুতা বড় বাবুর হাঁটুতে ঠেকাইয়া। কহিল, “তোর বাপের শ্রাদ্ধে ভিক্ষা এই”।

 পুরো। নারায়ণ! নারায়ণ! (কর্ণে হস্ত প্রদান)

 সাধু। অমনি বড় বাবুর চক্ষু রক্তবর্ণ হইল, অঙ্গ থর থর করিয়া কাঁপিতে লাগিল, দন্ত দিয়া ঠোঁট কামড়াইতে লাগিলেন এবং ক্ষণেক কাল নিস্তব্ধ হয়ে থেকে সজোরে সাহেবের বক্ষঃস্থলে এমন একটি পদাঘাঁত করিলেন, বেটা বেনার বোঝার ন্যায় ধপাত্ করিয়া চিত হইয়া পড়িল। কেশে ঢালী, যে এক কুটির জমাদার হইয়াছে, সেই বেটা ও আর দশ জন সুড়কীওয়ালা, বড় বাবুকে ঘেরাও করিল, ইহাদিগকে বড় বাবু এক বার ডাকাতি মাদ্দা হইতে বাঁচাইয়াছেন, বেটারা বড় বাবুকে মারিতে একটু চক্ষু লজ্জা বোধ করিল। বড় সাহেব উঠিয়া জমাদ্দারকে একটা ঘুসি মারিয়া তাহার হাতের লাঠি লইয়া বড় বাবুর মাথায় মারিল, বড় বাবুর মস্তক ফাটিয়া গেল এবং অচৈতন্য হইয়া ভূমিতে পড়িলেন; আমি অনেক যন্ত্র করিয়াও গোলের ভিতর যাইতে পারিলাম না, তোরাপ দূরে দাঁড়াইয়া দেখিতেছিল, বড়