এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪০
নীল দর্পণ নাটক।
সাধু। কোলে তুলিস্নে টাল্ যাবে।
রেবতী। এমন পোড়া কপাল করেলীম! আহা হা! হারাণ যে মোর মউর চড়া কাত্তিক, মুই হারাণের রূপ ভোল্বো ক্যামন করে, বাপো! বাপো! বাপো!
সাধু। রেয়ে ছোঁড়া কখন গিয়েছে, এখনও এল না।
রেরতী। বড় বাবু মোরে বাগের মুখ থেকে ফিরে এনে দিয়েলো। আঁটকুড়ির বেটা এমন কিলও মেরিলি, বাছার পেট্ খসে গেল, তার পর বাছারে নিয়ে টানাটানি। আহা হা! দৌউত্র হয়েলো, রক্তোর দলা, তবু সব গড়ন দেখা দিয়েলো; আঙ্গুল গুলো পর্য্যন্ত হয়েলো। ছোট সাহেব মোর ক্ষেত্ররে খালে, বড় সাহেব বড় বাবুরি খালে। আহা হা! কাঙ্গালেরে কেউ রক্কে করে না!
সাধু। এমন কি পুণ্য করিছি যে দৌহিত্রের মুখ দর্শন করিব।
ক্ষেত্র। গা কেটে গেল—মাজা—ট্যাংরা মাচ হু—হু—হু—
রেবতী। নমীর আত্ বুঝি পোয়ালো, মোর সোণার পিত্তিমে জলে যায় মোর উপায়