এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অঙ্ক।
১৫৫
জন্মের মত জননীর চরণরেণু ভোজন করিয়া মানব দেহ পবিত্র করি।
(চরণের ধূলি ভক্ষণ)
(সৈরিন্ধ্রির প্রবেশ)
সৈরি। ঠাকুর পো! আমি সহমরণে যাই আমারে বাধা দিও না! সরলতার কাছে বিপিন আমার পরম সুখে থাঁকবে—একি, একি! শাশুড়ি বয়ে এরূপ পড়ে কেন?
বিন্দু। বড়বউ, মাতাঠাকুরাণী সরলতাকে বধ করিয়াছেন, তৎপরে সহসা জ্ঞান সঞ্চার হওয়াতে, আপনিও সাতিশয় শোকসন্তপ্তা হইয়া প্রাণ ত্যাগ করিয়াছেন।
সৈরি। এখন! কেমন করে? কি সর্ব্বনাশ! কি হলো, কি হলো! আহা, আহা! ও দিদি আমার যে বড় সাঁধের চুলের দড়ি, তুমি যে আজো খোঁপায় দেউনি, আহা, আহা! আর তুমি দিদি বলে ডাকবে না (রোদন) ঠাকুরুণ, তোমার রামের কাছে তুমি গেলে আমায় যেতে দিলে না। ও মা! তোমায় পেয়ে আমি মায়ের কথা যে এক দিনও মনে করিনি।