পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

সে তখন স্থির করিল, একবার সমস্ত দায়িত্ব নিজের হাতে লইয়া দেখিবে ফলাফল কি হয়। এ বিশ্বাস তাহার হইল যে কল্যাণকৃৎ কখনও দুর্গতি প্রাপ্ত হইবে না (“নহি কল্যাণকৃৎ কশ্চিৎ দুর্গতিং তাত গচ্ছতি”) এবং সঙ্গে সঙ্গে এ বিশ্বাসও তাহার হইল যে ভরসা করিয়া এই ভার গ্রহণ করিলে পরিণাম কখনও অশুভ হইবে না; জয়লাভ করিলে সে বসুন্ধরা ভোগ করিতে পারিবে এবং জয়ের পূর্ব্বে মৃত্যুমুখে পতিত হইলে স্বর্গরাজ্যে স্থান পাইবে— (হতো বা প্রাপ্‌স্যসি স্বর্গং, জিত্বা বা ভোক্ষ্যসে মহীং)।

 যুব-আন্দোলন—যুবক-যুবতীদেরই আন্দোলন। এ আন্দোলন মানুষকে, মনুষ্য-সমাজকে ও মনুষ্য-সভ্যতাকে জরা ও বার্দ্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করিতে চায় এবং মানুষের তারুণ্যকে অমর করিয়া রাখিতে চায়। প্রকৃতির বুকে যেরূপ evergreen পাদপ পাওয়া যায়—মানুষের প্রাণকেও তদ্রূপ নিত্য সবুজ করিয়া রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাই যুগে যুগে তরুণের প্রাণ বার্দ্ধেক্যের বিরুদ্ধে, অনুকরণেচ্ছার বিরুদ্ধে, ভীরুতার বিরুদ্ধে, ক্লৈব্যের বিরুদ্ধে, অজ্ঞতার বিরুদ্ধে এবং সর্ব্বপ্রকার বন্ধনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিয়া আসিতেছে। আমি গত বৎসর নাগপুরে তরুণদের একটী সভায় বলিয়াছিলাম—The Voice of Krishna was the voice of immortal Youth—গীতার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের যে বাণীর

১০৩