সম্মান রক্ষার পুরস্কারস্বরূপ বরেণ্য বীররূপে ভারতপুজ্য হইয়াছে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে প্রতি বৎসর যে সব Gold Medalist ছাত্র বাহির হইতেছে সেইরূপ এক হাজার ছাত্র একত্র করিলেও একজন খড়্গ বাহাদুর তৈয়ারী হইবে না।
স্কুলে, কলেজে, ঘরে, বাহিরে, পথে, ঘাটে, মাঠে যেখানে অত্যাচার, অবিচার বা অনাচার দেখিবে সেখানে বীরের মত অগ্রসর হইয়া বাধা দাও—মুহূর্ত্তের মধ্যে বীরত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হইবে—চিরকালের জন্য জীবনের স্রোতে সত্যের দিকে ফিরিয়া যাইবে—সমস্ত জীবনটাই রূপান্তরিত হইবে। আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে শক্তি কিছু যদি সংগ্রহ করিয়া থাকি তাহা শুধু এই উপায়েই করিয়াছি।
আর একটী কথা বলিয়া আমার আজিকার বক্তব্য আমি শেষ করিব। ছাত্র সমাজকে সঙ্ঘবদ্ধ করিতে হইবে। তাহারা যে ভবিষ্যতের উত্তরাধিকারী, দেশের উদ্ধার যে তাহাদেরই করিতে হইবে এবং উদ্ধার করিবার শক্তি ও সামর্থ্য যে তাহদের আছে—একথা ভাল করিয়া বুঝাইয়া দিতে হইবে। ছাত্রসমাজকে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়া পাইতে হইবে। নিজের উপর বিশ্বাস এবং জাতির উপর বিশ্বাস না পাইলে মানুষ কোনও বড় কাজ করিতে পারে না। বাঙ্গলার তরুণসমাজের উপর, ছাত্রসমাজের উপর আমার বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা অপরিসীম, আমি তাদের অন্তরের সঙ্গে ভালবাসি—তাই
১৯