পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছাত্র আন্দোলন

আবরণ দূর করিতে হইবে, বিলাসিতা এবং আমোদ-প্রমোদ বর্জ্জন করিতে হইবে, পুরাতন অভ্যাস পরিত্যাগ করিতে হইবে এবং নূতন জীবন-যাত্রা প্রণালী অবলম্বন করিতে হইবে এইভাবেই আমাদের সমগ্র জীবন পরিপূর্ণ এবং পবিত্র হইয়া স্বাধীনতা লাভের যোগ্যতা অর্জ্জন করিবে।

 মোটের উপর মানুষ একটা সামাজিক জীব। সমাজের অবশিষ্ট অংশ হইতে তাহাকে বিচ্ছিন্ন করিলে তাহার আত্মবিকাশ হইতে পারে না। জীবনে সর্ব্বাঙ্গীন উন্নতি, পরিণতি ও পরিপুষ্টির জন্য ব্যক্তিকে বহুল পরিমাণে সমাজের উপর নির্ভর করিতে হয়। পক্ষান্তরে সমাজও ব্যক্তিকে বাদ দিয়া চলিতে পারে না। তারপর ইহাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, সমগ্র সমাজের উন্নতি না হইলে একমাত্র ব্যক্তির উন্নতি দ্বারা বিশেষ ফল হয় না; এরূপ ব্যক্তিগত উন্নতির খুব বেশী মূল্য থাকে না। যোগী সন্ন্যাসীর যে আদর্শ তাহা আমাদের সমাজের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নহে। সামাজিক জীবনের মধ্যে যাহার স্থান নাই, সেই আদর্শের খুব বেশী মূল্য আছে বলিয়া আমি মনে করি না। সুতরাং স্বাধীনতাকেই যদি আমাদের জীবনের মূলনীতি বলিয়া গ্রহণ করিতে হয়, ইহাকেই যদি আমাদের সমস্ত কর্ম্ম-প্রচেষ্টার প্রেরণাদায়িনী শক্তি বলিয়া মনে করিতে হয়, তাহা হইলে আমাদের সমাজ সংস্কারের ভিত্তিও এই স্বাধীনতার উপরই প্রতিষ্ঠিত করা আবশ্যক। তাহা হইলে

৬৭