পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

এবং তাহারই ফলে এই প্রাচীন জাতি অমর হইয়া পৃথিবীর বক্ষে বাস করিতেছে।

 বিভিন্ন জাতি বা বিভিন্ন বর্ণের মধ্যে রক্ত সংমিশ্রণের পরিণাম সম্বন্ধে আমাদের মত যাহাই হউক না কেন এ কথা বোধ হয় কেহ অস্বীকার করিবে না যে বিভিন্ন সভ্যতার ও শিক্ষার (culture) সংঘর্ষের দরুণ চিন্তা জগতে বিপ্লব উপস্থিত হয়। এই বিপ্লবই জাতির চৈতন্যের লক্ষণ। ইংরাজ এদেশে আসার পর আমাদের চিন্তাজগতে একটা বড় রকমের ওলট্-পালট্ হইয়াছিল। ইহা বর্ত্তমান যুগের নব জাগরণের সূত্রপাত। তারপর হইতে আমরা অন্তর্দৃষ্টি ফিরিয়া পাইয়াছি, নিজেদের বর্ত্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করিয়া দেখিতে শিখিয়াছি এবং আমাদের বর্ত্তমান অবস্থার সহিত একদিকে আমাদের প্রাচীন অবস্থা তুলনা করিয়াছি এবং অপরদিকে স্বাধীন জাতীর অবস্থা তুলনা করিয়াছি। নিজেদের বর্ত্তমান অবস্থার হীনতা ও লাঞ্ছনার অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা গৌরবময় ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিতে শিখিয়াছি। যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন আমরা দেখিতে শিখিয়াছি তাহা আমাদের গৌরবময় অতীত হইতেও অধিক গরিমাময়। এই স্বপ্ন বা আদর্শবাদের মধ্যে সৃষ্টির বীজ লুক্কাইত। জাতিকে যদি জাগাইতে হয় তাহা হইলে বর্ত্তমানের প্রতি প্রবল অসন্তোষ সৃষ্টি করিতে হইবে এবং এক উচ্চ আদর্শের ধ্যান করিতে শিখাইতে হইবে। তাই আমাদের যুব-আন্দোলনের

৮৫