পাতা:নূতন গিন্নী - জলধর সেন.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS নূতন গিল্পী ভাবিয়া আর উপায় স্থির করিতে পারিতাম না। পিপাসার তাড়নায় একদিন অস্থির হইয়া কোন সুযোগ করিতে পারিলাম না-এদিকে তৃষ্ণায় কণ্ঠতালু শুকাইয়া গিয়াছে। আর হিতাহিত বিবেচনা না করিয়াই-পুষ্করিণীতে নামিয়া অঞ্জলিপুটে জলপান করিলাম । জীবন ত রক্ষণ পাইল, কিন্তু এমন করিয়া আর কত দিন চলে। প্রেসিডেন্সী কলেজে অধ্যয়ন করিবার সময় যাহারা আমার নিকট অনেক সময় পাঠ লাইত, তাহারাও বেশ গাড়ী-ঘোড়া চড়িয়া উকিলগিরি করিতেছে। তবে কোন গ্রহের ফলে আমি, সুবৰ্ণ-পদক-প্ৰাপ্ত উকিল শ্ৰীনলিনীরঞ্জন মুখোপাধ্যায় এম, এ, বি, এল ছিন্ন চাপকন । চােগা পরিয়া দীনহীন কাঙ্গালের ন্যায় প্রতিদিন আদালত হইতে নিরাশ হৃদয়ে বাটী ফিরিতাম। বর্ষাকালে দুঃখের মাত্রী অশল্পও একটু বৃদ্ধি হইল। বেলা ১০টার সময় যদি ইন্দ্রদেবের মরজি হইতআর দুই বিন্দু জল পড়িত, অমনি ধৰ্ম্মতলায় রথচালকগণ দুই আনার স্থানে একদম বার আনা হাকিয়া বসিত। চোগা চাপিকানে ভূষিত এই উকিল মহাশয় তখন চারিদিক অন্ধকার দেখিয়া কালীঘাটের ট্রামে উঠিয়া বেলতলায় নামিয়া পদব্রজেই আলিপুরে যাত্মীয়াত করিতেন। প্ৰতিদিন যাই আসি ; কেহ জিজ্ঞাসাও করে না“তুমি বাৰু রোজ রোজ ধড়াচুড়া পরিয়া যথাসময়ে আলিপুরের বটতলায় হাজিরা দেও কেন ?” মানুষের সহিষ্ণুতার সীমা আছে-জুনিয়ারউকিলেরও আছে। তিন তিনটী বৎসর মাথার উপর দিয়া চলিয়া গেল,-কত কষ্ট কত অভাবের মধ্য দিয়া দিন কাটাইলাম, তাহা ভগবান জানেন। কত বিনিদ্র-রজনী চিন্তায় কাটিয়া গেল—তবুও অদৃষ্ট সুপ্ৰসন্ন হইল না—তবুও আলিপুরে কেহ আমাকে চিনিল নাকোন “মকেল একটা মোকদ্দমাও দিল না-আমার যাতায়ােতই সারা :