পাতা:নূতন গিন্নী - জলধর সেন.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Y নূতন গিল্পী বাগানে যাইয়া সে এমন ভাবে কাজ করিবে যে সাহেবেরা তাহার কাজে খুব খুলী হইবে, তাহার বেতন বাড়িয়া যাইবে-নানাদিক^হইতে মুঠোমুঠো টাকা তাহার ঘরে আসিবে। কাজ ত ভারি ? দুইবেল এক ঘণ্টা করিয়া পাতা-তোলা-সে কাজ ত সে কাজের মধ্যেই গ্ৰণ্য ८ । । গ্ৰাম, নগর, পল্লী পার হইয়া কলের গাড়ী ছুটিতে লাগিল; গাড়ীর মধ্যে বসিয়া মনের আনন্দে মতিয়া ও ভৈরী তাহদের ভবিষ্যৎ জীবনের ছবি আকিয়া উৎফুল্ল হইতে লাগিল। তিন দিনের দিন তাহাদিগকে একটা স্থানে ষ্টীমার হইতে নামিতে হইল । সেখান হইতে বাগান তিন মাইলের মধ্যে। যথাসময়ে মতিয়া ও ভৈরী পাতাচেড়া চা-বাগানে যাইয়া উপস্থিত হইল। প্ৰথম দিনে আর তাহাদিগের কোন কাজ করিতে হইল নাবাগিচার গুদাম হইতে তাহদের রসদ দেওয়া হইল-বাগানের জমাদার। তাহাদের ঘর স্থির করিয়া দিল । তাহারা দুইজনে ঘর গুছাইয়া বাগনের কাজ দেখিবার জন্য বাহির হইল-তাহদের মন একটু দমিয়া গেল ; রাণীগঞ্জে আড়কাটীর মুখে যাহা শুনিয়াছিল, কাজের সময় তাহা ত দেখিতে পাইল না। বাগানে ঘুরিয়া দেখিল, ভয়ানক পরিশ্রম করিতে হয়—কাজে একটু ক্ৰটী হইলেই মারা খাইতে হয়।” শঙ্কায়ুর পর সন্ধ্যার সময়ে তাহারই পাশের ঘরে যাহারা ছিল, তাহদের নিকট বাগিচারকাজের কথা, অত্যাচারের কথা তাহারা শুনিল। তৈরীর শরীর শিহরিয়া উঠিল-সে চারিদিক অন্ধকার দেখিতে লাগিল। তখন তাহারা বুঝিল, কি প্রলোভনে ভুলিয়া তাহারা তাহদের সোনার কুটীর ছাড়িয়া-আসিয়াছে। সেখানে ত অত্যাচার নাই—সেখানে ত, অবিচার নাই। “আর এ কোন দেশে, কোন নিৰ্বান্ধব স্থানে তারা আসিয়া