পাতা:নেক্‌লেশ - শ্রীভবতারণ.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । সপ্তমীর চাদ সন্ধ্যার নীল গগণের এক প্ৰান্তে নিবীড় অন্ধকার রাশীর মধ্য হইতে উকি দিয়া জগতকে আপনার আগমন বাৰ্ত্ত জ্ঞাপন করিল। গৃহ প্ৰাঙ্গনের অদুরস্থিত নিবীড় বঁাশঝাড়ের মাথার উপর দিয়া সেই ক্ষীণোজিল চন্দ্ররশ্মি নিদাঘ-তাপ-তাপিত ধরণীর বুকের উপর একটু শীতলতা ঢালিয়া দিল। ধীর সমীরণ গৃহ প্রাঙ্গনস্থিত যুঁই ও বেল ফুলের মধুর সুবাস অপহরণ করিয়া সেই ক্ষুদ্র বাট খানি আনন্দে ভরপুর করিয়া তুলিল । সুধাংশু কুমারের এই ক্ষুদ্র বাড়ীখানি গ্রামের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা অল্পায়তনের হইলেও তাহার ভিতর যেটুকু সৌন্দৰ্য্য, যেটুকু শান্তি ছিল;- বিলাসপুরে অন্য কোন সন্ত্রান্ত ধনীর সুন্দর হাম্মতলের মধ্যে বোধ হয় সেরূপ সৌন্দৰ্য্য স্থান পাইত না । বাড়ীখানির চারিদিকেই ইটের প্রাচীর মধ্যে দুইখানি পৃথক পৃথক শয়ন ঘর ; সদর দরজার ধারেক্ট একখানি বসিবার ঘর বা বৈঠকখানা ছিল । সুধাংশুর কনিষ্ঠ সুবোধচন্দ্ৰ অধিকাংশ সময় আপনার অধ্যাপনার জন্য তাহা ব্যবহার করিত। এক পার্শ্বে একখানি রান্না ঘর, একটা গোয়াল ঘর—তাহাতে দু তিনটী গাভী থাকিত। প্ৰাঙ্গনের এক পার্শ্বে একটা নাতিদীর্ঘ ধান্য পরিপুর্ণ গোলা । গোলার পার্শ্বের কতকটা জায়গায় সুবোধচন্দ্রের সাধের ফুলবাগান । এ বাগানের যাবতীয় ভার তাহার নিজের উপর। সুবোধ অনেক যত্ন করিয়া গাছের