পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

করা। রিপুর ধ্বংস হইলেই দিব্যভাবের দ্বারা হৃদয় পুর্ণ হইয়া উঠিবে। আর দিব্যভাব হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করিলেই সকল দুর্ব্বলতা পলায়ন করে। প্রত্যহ দুইবেলা ধ্যান করিবে। কিছুদিন ধ্যান করার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি পাইবে, শান্তিও হৃদয়ের মধ্যে অনুভব করিবে।

 স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রত্যহ কিছু ব্যায়াম চর্চা করিবে। Muller এর “My System” যোগাড় করে এই ব্যায়াম কর। আমি নিজে Muller এর systemএ ব্যায়াম করে থাকি এবং উপকারও পেয়েছি। ছাত্রসমাজে মূলারের ব্যায়ামের বেশী প্রচলন করিলে খুব উপকার হয়।

 মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম্মের যে উদ্দেশ্য বা আদর্শ অর্থাৎ আত্মবিকাশ সাধন সে কথা ভুলিলে চলিবে না। কাজই চরম উদ্দেশ্য নয়; কাজের ভিতর দিয়ে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে হবে এবং জীবনের সর্ব্বাঙ্গীন বিকাশ সাধন করিতে হবে। মানুষকে ব্যক্তিত্ব ও প্রবৃত্তি অনুসারে বৈশিষ্ট লাভ করিতে হবে এবং এই বৈশিষ্টের মূলে একটি সর্ব্বাঙ্গীন বিকাশ চাই। যে ব্যক্তির সর্ব্বাঙ্গীন উন্নতি হয় নাই তার অন্তরে সুখ নাই। সর্ব্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য চাই:—(১) ব্যায়াম চর্চা (২) নিয়মিত পাঠ (৩) দৈনিক চিন্তা বা ধ্যান।......... নিয়মিত ভাবে প্রত্যহ পনর মিনিট করে নির্জ্জনে চিন্তা বা ধ্যান করিবে, একঘণ্টা সদ্গ্রন্থ পাঠ করিবে। প্রত্যেককে নিজের সুবিধা অনুসারে এই সময় করে নিতে হবে। বইগুলির নাম দিচ্ছি:—