পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব আন্দোলনের উৎপত্তি

 বর্তমান অবস্থা এবং বাস্তবের কঠিন বন্ধনের প্রতি প্রবল অসন্তোষ হইতে যুব আন্দোলনের উৎপত্তি। তরুণ প্রাণ কখনও বর্ত্তমানকে বাস্তবকে চরম সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে পারে না। বিশেষতঃ যেখানে সে বর্ত্তমানের মধ্যে বাস্তবের মধ্যে অত্যচার অবিচার বা অনাচার দেখিতে পায় সেখানে তার সমস্ত প্রাণ বিদ্রোহী হইয়া উঠে। সে ঐ অবস্থার একটা আমূল পরিবর্ত্তন করিতে সাহসী হয়। যুব আন্দোলনের উৎপত্তি প্রবল অসন্তোষ হইতে—ইহার উদ্দেশ্য ব্যক্তিকে, সমাজকে, রাষ্ট্রকে নূতন আদর্শে নূতনভাবে গড়িয়া তোলা। সুতরাং আদর্শবাদই যুব আন্দোলনের প্রাণ।

ব্যক্তিত্ব ও সমষ্টিগতসাধনা

 সমাজ বা রাষ্ট্রের উন্নতি নির্ভর করে একদিকে ব্যক্তিত্বের বিকাশের উপর এবং অপরদিকে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার শক্তির উপর। আমাদের একদিকে খাঁটি মানুষ সৃষ্টি করিতে হইবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজ করিতে শিখিতে হইবে। সমগ্র সমাজের উন্নতি না হইলে একমাত্র ব্যক্তির উন্নতির দ্বারা বিশেষ ফল হয় না। এরূপ ব্যক্তিগত উন্নতির বেশী মূল্য থাকে না। সামাজিক জীবনে যে আদর্শের স্থান নাই সেই আদর্শের বেশী মূল্য নাই। ব্যক্তিত্ব ফুটাইবার জন্য যেরূপ গভীর সাধনা আবশ্যক, সামাজিক বৃত্তির বিকাশের জন্য সেরূপ সাধনার প্রয়োজন।