পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১২৭

সর্ব্বদাই ভীত। বাহির অপেক্ষা আমরা যেন ঘরকেই ভালবাসি। আমি বাঙ্গালির তরুণ সমাজকে বলিতে চাই—বাহিরের জন্য, “অজানার” জন্য পাগল হইতে শিখ। ঘরের কোণে বা দেশের কোণে লুকাইয়া থাকিলে চলিবে না।

তরুণের আদর্শ

 বর্ত্তমানের সকল বন্ধন, অত্যাচার, অবিচার, অনাচার ধ্বংস করিয়া নূতন সমাজ ও নূতন জাতি সৃষ্টি করা, প্রাচীনের ও বর্ত্তমানের উচ্চ প্রাচীর অতিক্রম করিয়া সুদূরের সন্ধান করা এবং সুদূরের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করা—তরুণের আদর্শ। তরুণ বর্ত্তমানকে বা বাস্তবকে অত্যন্ত সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে পারে না। সে চায় ধ্বংসের মহাশ্মশানের বুকে সৃষ্টির অবিরাম তাণ্ডব নৃত্য। ধ্বংস ও সৃষ্টি লীলার মধ্যে যে আত্মহারা হইতে পারে একমাত্র সেই ব্যক্তিই তরুণ। তারুণ্য যার আছে সে ধ্বংস ও সংগ্রামের ছায়া দর্শনে ভীত হয় না অথবা নবসৃষ্টিরূপ কাজে অপারগ হয় না। বৃদ্ধ হইয়াও মানুষ তরুণ হইতে পারে যদি তার প্রাণ সবুজ থাকে, আর তরুণ হইয়াও মানুষ বৃদ্ধ হইতে পারে যদি তার অবস্থা হয় “বৃদ্ধত্বম জরস্ত বিনা”।

আত্মবলিদান

 আমাদের সব আছে—প্রকৃতি, সৌন্দর্য্য, শারীরিক বল, শিক্ষা, দীক্ষা, শোর্য্য, বীর্য্য, বিদ্যা বুদ্ধির কোনটির অভাব নাই। এ সব