পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৩৯

থেকেই এ আমার এক রোগ। কত স্বপ্নই না আমি দেখেছি। কিন্তু আমার স্বপ্নের সেরা স্বপ্ন—আমার জীবনের সব চাইতে প্রিয়স্বপ্ন—ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্ন। ওরা মনে করে, স্বপ্ন দেখাটা বুঝি একটা দোষ। আমি এতে গর্ব্ব বোধ করি। ওদের কাছে আমার স্বপ্ন ভাল লাগে না। কিন্তু সে ত নূতন কথা নয়। ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্নকে আমার জীবনে যদি একান্ত ক’রে না নিতাম তবে দাসত্বের শিকলকে শাশ্বত ব’লে আমাকে মেনে নিতে হ’ত। আসল প্রশ্ন হ’চ্ছে, আমার স্বপ্ন কি বাস্তব রূপ নিতে পারবে? আমি বলছি, পারবে। দিনে দিনে আমার স্বপ্ন বাস্তবে বিকশিত হয়ে উঠছে। এই যে স্বাধীন ফৌজ গঠিত হ’ল—এ আমার একটি স্বপ্নের বাস্তব রূপ। না, স্বপনচারী হ’তে আমার লজ্জা নেই। স্বপনচারীদের স্বপ্নই পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বিশ্বের প্রগতি তাঁদের স্বপ্নের ফলে সম্ভব হয়েছে। সে স্বপ্ন অন্যকে শোষণের স্বপ্ন নয়, ব্যক্তিগত ধনসম্পদ বা সম্মান বৃদ্ধির জন্য স্বপ্ন নয়, অবিচারকে শাশ্বত করার স্বপ্ন নয়—সে স্বপ্ন প্রগতির স্বপ্ন, প্রচুরতমলোকের প্রভূততম সুখ সাধনের স্বপ্ন, সকল জাতির স্বাধীনতা মুক্তির স্বপ্ন।”

আজাদ হিন্দ ফৌজের দিনপঞ্জী

 ৭ই ডিসেম্বর, ১৯৪১—সুদূর প্রাচ্যে যুদ্ধ আরম্ভ।

 ১৫ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৪২—জাপান কর্ত্তৃক সিঙ্গাপুর অধিকার।

 নভেম্বর-ডিসেম্বর—পেনাংস্থ ইংরাজ ইনষ্ট্যুট এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্কট।

 ১৮ই এপ্রিল, ১৯৪৩—যুদ্ধের জন্য ভারতীয় স্বাধীনতা-সঙ্ঘগঠিত।