পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৪
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

 সুতরাং বর্ত্তমান বিপদের দিনে (যুদ্ধের সময়ে) ভারতের স্বাধীনতা এবং ভারতে ব্রিটিশ প্রভুত্বের অবসান অত্যাবশ্যক। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোন আশ্বাস বা নিশ্চয়তা দ্বারা বর্ত্তমান সমস্যার সমাধান হইবে না বা বর্ত্তমান বিপদের প্রতিকার হইবে না। লক্ষ লক্ষ লোকের যে প্রেরণা ও শক্তি অবিলম্বে যুদ্ধের প্রকৃতি পরিবর্ত্তন করিতে পারে, জনগণ একমাত্র এখনই স্বাধীনতা লাভ করিলেই সে শক্তি স্ফুরিত হইতে পারে।

 সুতরাং ভারত হতে বৃটিশ শক্তি অপসারণের জন্য যে দাবী করা হইয়াছে, নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি পূর্ণ গুরুত্ব আরোপ করিয়া উহা পুনরুখাপন করিতেছে। ভারতের স্বাধীনতা ঘোষিত হইলে এক সাময়িক গভর্ণমেট গঠন করা হইবে এবং স্বতন্ত্র ভারত সম্মিলিত জাতিসমূহের মিত্ররাষ্ট্রে পরিণত হইয়া স্বাধীনতার সংগ্রাম প্রচেষ্টায় তাহাদের সুখ দুঃখের সমান অংশীদার হইবে। একমাত্র এ দেশের প্রধান পার্টি ও দলগুলির সহযোগীতায়ই সাময়িক গভর্ণমেণ্ট গঠিত হইতে পারে। সুতরাং ভারতের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সমূহের প্রতিনিধিদের লইয়া এই গভর্নমেণ্ট গঠিত হইবে ও তাহা মিশ্র গভর্নমেণ্ট হইবে। গভর্ণমেণ্টের প্রথম কার্য্য হইবে দেশ রক্ষার ব্যবস্থা করা এবং মিত্রশক্তিবর্গের সহিত সহযোগীতায় সর্ব্বপ্রকারের হিংস ও অহিংস উপায়ে শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করা। ক্ষেত্রে, কারখানায় এবং অন্যান্য স্থানে যাহারা পরিশ্রম করে, মূলতঃ সশস্ত্র ক্ষমতা ও অধিকার তাহাদেরই হইবে এবং সাময়িক গভর্ণমেণ্ট ইহাদের মঙ্গলের জন্য চেষ্টা করিবেন।

 গণপরিষদ গঠনের উদ্দেশ্যে, সাময়িক গভর্নমেণ্ট একটি পরিকল্পনা স্থির করিবেন এবং সেই গণপরিষদ ভারত শাসনের জন্য সকল শ্রেণীর