পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫২
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

দেওয়া হয়। ধৃত সরকারী কর্ম্মচারীদের উপর খুব সদয় ব্যবহার করা হয় এবং বাড়ীতে ফিরিয়া যাইবার জন্য তাঁহাদিগকে পথ খরচ দেওয়া হয়। সুতাহাটা থানা দখলের সময় ৬টী বন্ধুক ও ২খানি তরবারি হস্তগত করা হইয়াছিল; কিন্তু ঐ সমস্ত অস্ত্র শস্ত্র কখন ও ব্যবহার করা হয় নাই। এইগুলি নষ্ট করিয়া ফেলা হয়।

 ১৯৪২সালে ৭ই ডিসেম্বর তারিখে জনসাধারণ তমলুক মহকুমায় একটা ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার’ নামে জাতীয় গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠিত করেন। এই গভর্ণমেণ্টের অধীনে তাঁহাদের নিজেদের ৫টী থানা অফিস এবং ৬টী ইউনিয়ন পঞ্চায়েত অফিসও ছিল।

 মহকুমা কংগ্রেস কমিটী কর্ত্তৃক নিয়োজিত একজন ডিক্টেটর তমলুক মহকুমা জাতীয় গভর্ণমেণ্টের প্রধান কর্মকর্ত্তা (ডিক্টেটর) হন। ডিরেক্টর তাঁহার পরবর্ত্তী ডিরেক্টরকে মনোনীত করিতে পারিতেন। এই মনোনয়ন মহকুমা কংগ্রেস কমিটীর অনুমোদন সাপেক্ষ ছিল। তমলুক মহকুমায় একাদিক্রমে ৪জন ডিক্টেটর নিযুক্ত হইয়াছিল। চতুর্থ ডিক্টেটর মহাত্মাজীর নির্দ্দেশক্রমে বৃটিশ গভর্ণমেণ্টের নিকট আত্ম সমর্পণ করেন।

 একটী মন্ত্রীসভার সাহায্যে ডিক্টেটর জাতীয় গভর্ণমেণ্টের কাজ কর্ম্ম নির্ব্বাহ করিতেন। মন্ত্রিসভা এবং ডিক্টেটর মহকুমা কংগ্রেস কমিটীর নিকট দায়ী ছিলেন। মন্ত্রিসভার সমর, স্বরাষ্ট্র, প্রচার, শিক্ষা, অর্থ, বিচার, সাহায্য ও পুনর্গঠন প্রভৃতি কয়েকটী দপ্তর ছিল।

 জাতীয় গভর্ণমেণ্টের বিচারালয় (কোর্ট) ছিল। লোকে মামলা মোকর্দ্দমা করিতে ইংরাজদের আদালতে যাইত না। জাতীয় গভর্ণমেণ্টের আপীল কোর্ট পর্য্যন্ত ছিল। জাতীয় গভর্ণমেণ্টের রেজিষ্ট্রী অফিস ছিল। মামলার সাধারণ ফি ১৲ টাকা ও জরুরী ফি ২৲