পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৫৫

বহুবৎসর যাবৎ কংগ্রেস কর্ম্মী হিসাবে কাজ করিতেছিলেন। তমলুক সহরে ‘বানপুকুর’ পাড়ে শোভাযাত্রা পরিচালনা করিবার সময় তাঁহার উপর তিনবার গুলি বর্ষণ করা হইয়াছিল। ১২ হইতে ১৬ বৎসর বয়স্ক ৬টী বালক ও নিহত হইয়াছিল। একটা শিশুর একখানি পা বুট জুতার নিষ্পেষণে চূর্ণ হইয়া গিয়াছিল।

 পোট্রোল এবং কেরোসিন সহযোগে চালাঘর ও ইমারত সমূহেও অগ্নিসংযোগ করা হইয়াছিল। একজন বিশিষ্ট কংগ্রের কর্ম্মীর বাড়ীতে ৫টী গরু সমেত মোট ১২টী গৃহপালিত পশু জীবন্ত অবস্থায় দগ্ধ হইয়া মারা যায়। ধৃতব্যক্তিগণকে ২ ঘণ্টা হইতে ৩ দিন পর্য্যন্ত আটক করিয়া রাখা হয়। আটক থাকা কালে তাহাদিগকে নির্ম্মমভাবে প্রহার করা হয়। ঐ সময়ে তাহাদিগকে কিছু খাইতে দেওয়া হইত না। তমলুক সাব জেলে সাধারণতঃ যত কয়েদী রাখা হয় ঐ সময়ে তাহার চতুর্গুণ লোক রাখা হইয়াছিল। ইহার প্রতিবাদ কল্পে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একব্যক্তি ২০দিন পর্যন্ত অন্নশন ধর্ম্মঘট করিয়াছিলেন।

 অমানুষিক নির্য্যাতনের মধ্যে বহু গ্রামবাসীকে দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করিতে বাধ্য করা হয়। তাহাদের খাইতে দেওয়া হয় নাই। দুরন্ত শীতের রাতে অধিবাসীদের পুষ্করিণীর শীতল জলে ডুবাইয়া রাখা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে তাহাদের উলঙ্গ করিয়া পুষ্করিণীতে রাখা হইয়াছিল। বহু ব্যক্তিকে এমনভাবে প্রহার করা হয় যে যে পর্য্যন্ত তাহারা অজ্ঞান না হইয়া পড়িয়াছেন সে পর্য্যন্ত তাহাদের প্রহার বন্ধ করা হয় নাই। বহু ব্যক্তিকে এমনভাবে প্রহার করা হইয়াছিল যে তাহাদের প্রস্রাব নালী হইতে রক্ত বাহির হইতে থাকে। আর এক নূতন ধরণের অত্যাচার হয় যে, প্রহার করিয়া অজ্ঞান