পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

পর্যন্ত সেবা করেন। ইহারা উভয়ই ১৯৩৩ সালে ৯ই মে গান্ধীজিকে রাজনীতি হইতে অবসর গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন। প্যাটেল ভারতের বাহিরে স্বাধীনতার আন্দোলন চালাইবার জন্য সুভাষের নামে এক লক্ষ টাকা উইল করিয়া যান। প্যাটেলের মৃত্যুর পর সুভাষ তাঁহার মৃতদেহ ভারতে পাঠাইয়া দেন। ভগ্নস্বাস্থ্য স্বত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র বিদেশে ভারতের পক্ষে অনেক আন্দোলন করেন যদিও ইউরোপে তাহাকে অনেকটা নির্ব্বাসিতের মত জীবন যাপন করিতে হয়। ইংলণ্ড, রাশিয়া, জার্মেনি ও যুক্তরাষ্ট্রে যাইবার অনুমতি ছিল না।

 লণ্ডনে ভারতীয়দের একটি সম্মেলনে সুভাষকে সভাপতিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ করা হয় কিন্তু ব্রিটিশ গভর্নমেণ্ট অনুমতি দেওয়ায় সুভাষচন্দ্র লণ্ডনে যাইতে পারেন নাই। ডাঃ ভাট তাঁহার লিখিত অভিভাষণ পাঠ করেন।

 ১৯৩৩ সালে সুভাষ প্রাগ সহরে যান। সেখানে প্রাগের মেয়র সুভাষকে বিপুলভাবে অভ্যর্থনা করেন। তিনি জেনেভায় কিছুদিন ছিলেন। তিনি ফ্রান্স ও ইটালিতেও ভ্রমণ করেন। তিনি রোমে কিছুদিন থাকেন। পরে সোফিয়া, বুদাপেষ্ট, বুখারেষ্টে ভারত সম্বন্ধে অনেক বক্ত‌ৃতা করেন। বেলগ্রেডে ব্রিটিশ রাজদূত তাঁহার বিরুদ্ধাচরণ করেন, অন্যক্ষেত্রে ব্রিটিশের প্রতিনিধি তাঁহার কার্য্যকলাপের উপর কড়া নজর রাখিতেন।

 পিতার মৃত্যু—১৯৩৪ সালে সুভাষের পিতা অসুস্থ হইয়া