পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

পড়িয়া আছে এইরূপ ছবি আছে। এই ছবির নীচে লেখা আছে যে সাধারণ লোকে সাধুর মৃত দেহ স্পর্শ করে না। বায়স্কোপে ভারতের কুৎসাকারী ছবি দেখান হয়। 'Bengali' নামক ছবিতে দেখান হয় ব্রিটিশ ভারতের ত্রাণকর্ত্তা। আর একটি ছবিতে দেখান হয় যে মহাত্মা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় একটি ইউরোপীয় মেয়ের সঙ্গে নৃত্য করছেন। এই সকল অপকর্ম্মের বিরুদ্ধে সুভাষচন্দ্র বিশেষ প্রতিবাদ করেন।

 ১৯২৬ সালে তিনি আয়র্ল্যাণ্ড ডি ভ্যালেরা ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতে উভয় দেশের মধ্যে সৌহার্ধ্য বর্দ্ধিত হয়। ডি ভ্যালেরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি খুব সহানুভূতি প্রকাশ করেন। ভারতীয় ছাত্র ও অধ্যাপক যাহাতে আয়র্ল্যাণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠের সুবিধা পান তদ্বিষয়ে সুভাষচন্দ্র ডি ভ্যালেরার নিকট অনুরোধ করেন।

 ভারতে আগমন ও গ্রেপ্তার—১৯৩৬ সালে লক্ষ্মৌ কংগ্রেসে যোগদান করিবার জন্য সভাপতি জহরলাল জনমতের অভিপ্রায় অনুসারে সুভাষকে ভারতে আগমনের আমন্ত্রণ জানান। ভারত সরকার ইহা জানিতে পারিয়া ভিয়েনার ব্রিটিশ রাজদূত মারফৎ সুভাষচন্দ্রকে জানাইয়া দেন যে যদি সুভাষ ভারতে ফেরেন তবে তাঁহাকে স্বাধীনভাবে থাকিতে দেওয়া হইবে না। সুভাষ এই অন্যায় ব্যবহারের প্রতিবাদে সতর্কবাণী অগ্রাহ্য করিয়াই কণ্টিভার্ড জাহাজে রওনা হন। ১১ই এপ্রিল বোম্বাই পৌঁছান