পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি দুইটি প্রস্তাব পাশ করেন যথা:—(১) প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সমিতির অনুমতি ভিন্ন কোন প্রদেশের কেহ বা কোন প্রতিষ্ঠান সত্যাগ্রহ করিতে পারিবে না। (২) দ্বিতীয় প্রস্তাবে কংগ্রেস মন্ত্রীদের সহিত কংগ্রেস কমিটিগুলির সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। সুভাষচন্দ্র এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন যে এই প্রস্তাব নিয়মতান্ত্রিকতাকে প্রশ্রয় দিবে, কংগ্রেসের উপর মন্ত্রীদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়াইবে এবং কংগ্রেস জন সাধারণ হইতে পৃথক হইয়া পড়িবে। এই সকল কারণে তিনি সর্ব্বত্র এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা আহ্বান করেন। সুভাষচন্দ্র বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতিরূপে দুইটি প্রস্তাবের বিরুদ্ধাচরণ করেন। রাজেন্দ্রপ্রসাদ ওয়ার্দ্ধায় ওয়ার্কিং কমিটিকে আহ্বান করেন। এই অধিবেশনে কমিটি সুভাষচন্দ্রকে বঙ্গীয় কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হইবার এবং তিন বৎসরের জন্য যে কোন কংগ্রেস কমিটির সভ্য হইবার অযোগ্য মনে করেন। হায়! অদৃষ্টের পরিহাস! কিন্তু বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি তাঁহাকে সভাপতি নির্ব্বাচিত করেন। ফলে ওয়ার্কিং কমিটি বঙ্গীয় কংগ্রেস কমিটিকে পর্যন্ত বাতিল করিয়া দেন।

 সুভাষচন্দ্র কোন জাতীয় অপমান সহ্য করিতে পারিতেন না। ইতিহাসে নবাব সিরাজদ্দৌলার কর্তৃক অন্ধকূপ হত্যার অনুষ্ঠান মিথ্যা বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে। তিনি সিরাজদ্দৌলার মিথ্যা কলঙ্কের নিদর্শন হল ওয়েল মনুমেণ্ট অপসারণের