পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

নায়কত্বে সর্ব প্রথমে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হয়। ইহাতে জাপানের নিকটে আত্মসমর্পণকারী অনেক ভারতীয় সৈন্য যোগ দেয়।

 জাপানের সহিত বিবাদ—ইহার পর আজাদ হিন্দ সঙ্ঘের এক নূতন বিপদ দেখা দিল। জাপানীরা আজাদ হিন্দ ফৌজের কার্য্যকলাপে হস্তক্ষেপ করিতে আরম্ভ করিল। জাপানীরা তাহাদের নীতিও স্পষ্টভাবে ঘোষণা করিল না।

 আজাদ হিন্দ সঙ্ঘও জাপানের কোন আদেশ মানিতে রাজি হইল না। ফলে উভয় দলে বাধিল সংঘর্ষ। জাপানীরা ১৯৪২ সালের ৮ই ডিসেম্বরে মোহন সিংকে গ্রেপ্তার করিল। ইহাতে অনেক আজাদি সৈন্য ব্যাজ ফিরাইয়া দিলেন এবং সঙ্ঘের অনেক সভ্য পদত্যাগ করিলেন। ১৯৪৩ সালের জানুয়ারীতে পুনরায় সৈন্য সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু জাপানীর একটি প্রতিদ্বন্দী তাঁবেদার ভারতীয় দল গঠন করেন এবং নানারূপ মিথ্যা রটনা শুরু করেন। জাপানীদের ষড়যন্ত্রে নানারূপ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। প্রথম আজাদি বাহিনী ভাঙ্গিয়া যায়। রাসবিহারি বসুর বিরুদ্ধে নানারূপ সমালোচনা হইতে থাকে এবং তাঁহার নেতৃত্বে সকলে আস্থাহীন হন। এইরূপ অবস্থায় সিঙ্গাপুরে একটি সম্মেলনে রাস বিহারি সুভাষচন্দ্রের আগমন বার্তা ঘোষণা করেন।

 সুভাষচন্দ্রের আগমন ও নীতি ঘোষণা—১৯৪৩ সালে তিনি সিঙ্গাপুরে পৌঁছান। ৪ঠা জুলাই তিনি আজাদ হিন্দ সঙ্ঘের সভাপতি নির্ব্বাচিত হন। রাসবিহারী পরামর্শদাতা