পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৬৩

তিনি বিদ্যালয়কে সাহায্য করিতেন এবং গরীব বিদ্যার্থীকে পালন করিতেন। সময়ে সময়ে বনে জঙ্গলে পাহাড়ে গিয়া তাঁবু পাতিয়া তিনি ছেলেদিগকে প্রকৃতির সহিত পরিচয় করাইতেন।

 তিনি অহিংসায় বিশ্বাস করিতেন এবং তাঁহার অস্ত্রশস্ত্র সরকারকে ফিরাইয়া দিয়াছিলেন। আয়ুর্ব্বেদকে তিনি খুব উচ্চ স্থান দিতেন।

 তিনি বিনাশর্তে বৃন্দাবন সহরের বাহিরের কয়েকটি বাগান ও জমি আর্যসমাজের গুরুকুলকে দান করেন। ঐ জমির মূল্য হইবে ১৫০০০ টাকা। তিনি অস্পৃশ্যতা ঘৃণা করিতেন। তিনি মেথরদের সহিত একত্র বসিয়া আহার করেন।

 ১৯১২ সালে দ্বিতীয়বার তিনি ইউরোপ ভ্রমণ করিয়া দেশে ফিরিয়া আসিয়া প্রেমমহা বিদ্যালয়ের ভিতর দিয়া সংগঠনকার্য্য আরম্ভ করেন। ১৯৪৪ সালে তৃতীয়বার তিনি ইউরোপ যাত্রা করেন।

 প্রথম মহাযুদ্ধের সময় তিনি জার্ম্মাণীর কাইজারের নিকট এবং আফগানিস্থানে আমীরের নিকট আসেন। সেই হইতে ভারত সরকার মহেন্দ্র প্রতাপের ভারত আগমন বন্ধ করিয়া দেন। আফগানিস্থানের এজেণ্ট হিসাবে তিনি পৃথিবীর নানাদেশ পর্য্যটন করিয়াছিলেন।

 বার্লিনে অবস্থানকালে World Federation নামক একখানা ইংরেজী কাগজ তিনি সম্পাদনা করিতেন। তিনি ভারতের নানা ইংরেজী কাগজে, Young India তে তিনি অনেক প্রবন্ধ লিখিয়াছেন। তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করিতেন।