পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৬৫

যোগদান করেন এবং সৈন্যাধ্যক্ষরূপে সর্বোচ্চ পদে তিনি অভিষিক্ত হন। তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁহাকে দিল্লীর লালকেল্লায় আনা হইয়াছে।

 জগন্নাথ রাও অভিজাত সর্দ্দার পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁহার আত্মীয় স্বজন অনেকেই যোদ্ধা। ক্যাপ্টেন ভোঁসলে সিন্ধিয়ার বর্তমান শাসকের আত্মীয়। তাঁহার পত্নী চাঁদকিনোবাঈও অভিজাত পরিবার সম্ভ‍ূতা। জগন্নাথরাওএর তিনটি কন্যা সন্তান বর্তমান—জ্যেষ্ঠের বয়স ১১ বৎসর। তাঁহার স্ত্রী ও কন্যারা বর্ত্তমানে বরোদাতে বাস করিতেছেন। মহৎ চরিত্র ও সরল ব্যবহারের গুণে জগন্নাথরাও সকলের প্রিয়। তিনি একজন বিশিষ্ট ক্রীড়ামোদী। তাঁহার ৭৫ বৎসর বয়স্কা বৃদ্ধা মাতা বর্ত্তমান।

লেঃ কর্ণেল মিস্ লক্ষ্মী স্বামীনাথন

 ডাঃ কুমারী লক্ষ্মী স্বামীনাথন ১৯৩৭ সালে মাদ্রাজ মেডিকেল কলেজ হইতে ডিক্রি লাভ করেন। অতঃপর ১৯৪০ সালে তিনি চিকিৎসা ব্যবসা করিবার জন্য সিঙ্গাপুরে গমন করেন। তিনি সিঙ্গাপুরের পতনের পর আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিয়া উহার অন্তর্ভূক্ত নারীবাহিনী গঠন করেন। তিনি লেঃ কর্ণেল পদে উন্নীত হইয়া “ঝাঁসীর রাণী” বাহিনীর অধিনায়কত্ব করেন। তাহারা অস্ত্র প্রয়োগের কৌশল শিক্ষা করেন।

 শ্রীমতী লক্ষ্মী কিছুকাল কালেওয়ায় চিকিৎসক হিসাবে কাজ করেন। তিনি বৃটিশ কর্ত্তপক্ষের নিকট আত্মসমর্পণ