পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

নেতাজীকে সংবাদ দেয় যে রাসবিহারী বসু মোটরে তাঁহার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। কিন্তু সুভাষ জানিতেন যে রাসবিহারী বসু তখন সিঙ্গাপুরে আসিতে পারেন না, তিনি জাপানে ছিলেন। লোকটি ফিরিয়া আসিয়া দেখে প্রাঙ্গণ হইতে মোটর উধাও হইয়াছে।

 (চ) ব্যাঙ্ক ও আয়—একটি সভায় নেতাজীর মুহূর্ত্তের আবেদনে রেঙ্গুনের একজন মুসলমান বণিক নিজেই এক কথায় ৩০ লক্ষ টাকা দান করেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা তুলিয়া দেন। আজাদ National ব্যাঙ্ক বর্মার আইনানুসারে রেজিষ্টারি হয়। এই ব্যাঙ্কের মারফত ব্যবসায়ী কারবার চালাইত। এই ব্যাঙ্কের চেক নোটের মত গণ্য হইত। সাধারণে ইহার ঐরূপ মূল্য দিত। পনর দিনের মধ্যে ব্যাঙ্কের তিনটি শাখা খোলা হইয়াছিল। ব্রহ্মে বহু কারবারী কালাবাজারে বিস্তর অর্থ উপার্জ্জন করে। নেতাজী তাহাদিগের মূলধনের উপর কর ধার্য্য করিয়াছিলেন। ১৯৪৫ খৃষ্টাব্দের এপ্রিলের বিশৃঙ্খলার সময় আজাদ ব্যাঙ্ক বাজারের চলতি মূল্যে সকলকে জিনিষপত্র যোগাইত।

 (ছ) নেতাজীর প্রতি ভক্তি-নেতাজীকে লোকে কত ভক্তি করিত তার দৃষ্টান্ত স্বরূপ একটি ঘটনা বিবৃত করিতেছি। একদিন নেতাজীকে রেঙ্গুন হইতে সিঙ্গাপুরে উড়োজাহাজে উঠিবার সময়ে খুব বিষন্ন দেখাইতেছিল। উড়োজাহাজ ছাড়িবার মাত্র দশ মিনিট দেরী আছে। একজন চেটিয়ার মাদ্রাজী বণিক তার