পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

 এরপর বিশ বছর চলে গেল। এ সময়ের মধ্যে ভারতীয়গণ নানা প্রকার দেশপ্রেমমূলক কাজ করেছে।......ভারতবাসী শুধু রাজনৈতিক চেতনাই লাভ করল না তারা একটি অখণ্ড রাজনৈতিক সত্তায় পরিণত হল।


 এমনিভাবে বর্তমান সামগ্রিক যুদ্ধের প্রাক্কালে ভারতের মুক্তির শেষ সংগ্রামের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত হল।.........

 “পরিপূর্ণ সমরায়োজন” ধ্বনিতে অনুপ্রাণিত হয়ে পূর্ব এশিয়ায় আজ বিশলক্ষাধিক ভারতীয় এক সুসংবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে সম্মিলিত হয়েছে। তাদের সম্মুখে রয়েছে―ভারতের আজাদ হিন্দ ফৌজ―তাদের মুখে, দৃঢ়তাপূর্ণ বুলি হল―দিল্লী চলো

 কপটতা ও ভণ্ডামীদ্বারা বৃটিশ শাসকগোষ্ঠী ভারতীয়দের শুভেচ্ছা ও সহানুভূতি হতে বঞ্চিত হয়েছে। এক্ষণে বৃটিশরাজ অতীব সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে অবস্থান করছে। মাত্র একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের প্রয়োজন এই অপ্রীতিকর শাসন ব্যবস্থার শেষ চিহ্ন লোেপ করবার জন্য। আজাদি ফৌজের উপরই ভার পড়েছে নেই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ সৃষ্টির। স্বদেশে অসামরিক জনগণের এবং বৃটিশ সরকার গঠিত ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর বহু লোকের বিপুল সমর্থনে, বিদেশে আমাদের অজেয় মিত্রবর্গের সহায়তায় এবং আত্মশক্তির উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে ভারতীয় আজাদী ফৌজ তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকায় সফলতা লাভ করবে বলে একান্তভাবে বিশ্বাস করে।

 স্বাধীনতা আসন্ন। আজ প্রত্যেক ভারতবাসীর কর্তব্য একটি অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট গঠন করে তারই পতাকাতলে সমবেত হয়ে স্বাধীনতার শেষ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু ভারতের প্রতিটি