পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 আমাদের দায়িত্ব সহজ নয়। যুদ্ধ বহুদিন ব্যাপী ও ভীষণ হবে কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী এবং দুর্ধর্ষতার ওপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আটত্রিশ কোটি মানুষ যারা সমস্ত মানবজাতির এক দশামাংশ, তাদের স্বাধীন হবার দাবী আছে এবং তারা আজ সেই স্বাধীনতার মূল্য দিতে প্রস্তুত! সুতরাং জগতের কোন শক্তিই আর আমাদের জন্মগত অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করে রাখতে পারবে না।

 কার্যাধ্যক্ষ ও কর্মী বন্ধুগণ—! তোমাদের অসীম নিষ্ঠা ও অনমনীয় আনুগত্যের বলে এই জাতীয় সেনা বাহিনী ভারতের স্বাধীনতার যন্ত্র স্বরূপ হয়ে উঠবে। শেষ পর্যন্ত জয় আমাদের হবেই, আমি আশ্বাস দিচ্ছি। আমাদেব কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

 যতদিন না দিল্লীর রাজ প্রতিনিধি ও প্রাসাদে আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারি, যতদিন না ভাবতের রাজধানীর প্রাচীন লালকেল্লায় জাতীয় সেন। বাহিনী বিজয় উৎসবের কুচকাওয়াজ করতে পাবে ততদিন ‘দিল্লী চলো’ এই বাণী মুখে নিযে আমরা সংগ্রাম করে চলবো।

মূল শিবির
জাতীয়-সেনা-বাহিনী
২৫শে আগষ্ট ২৬০৩,

(স্বাক্ষর) সুভাষচন্দ্র বসু। 
সর্বাধিনায়ক,
(সিপাহ, শালার)

 সমস্ত জগতের সম্মুখে এই বাণী ঘোষিত হয়ে গেল। সমস্ত জগৎ, বিশেষ করে ভারতবর্ষ তার সমস্ত প্রাণের উৎকণ্ঠা দিয়ে শুনলো এই অভিষেকের সংবাদ। সিঙ্গাপুর, জোহর, পেনাং ইপো, সেরেম্বান, জিত্রা, ব্যাংকক এবং রেঙ্গুনে সামরিক শিক্ষা কেন্দ্র খোলা হল। প্রত্যেক শিক্ষা কেন্দ্রে গড়ে ৩৫০০ সৈন্যের আধুনিকতম যুদ্ধ বিদ্যায় শিক্ষিত করার ব্যবস্থা হল। দলে দলে ভারতীয় যুবক—সর্ব জাতের,

৯৪