পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আমি এই মুল্য দেওয়ার পরিবর্তে জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। সরকার জোর করে আমায় জেলের মধ্যে আবদ্ধ কবে রাখতে চান তাহলে তার জবাবে আমি বলবো—আমায় ছেড়ে দাও আর না হয় আমি কিছুতেই বাঁচবো না— আমি বাঁচবো কি মরবো সেটা সম্পূর্ণ আমার হাতে।

 এই মর জগতে সবই ধ্বংস হবে—কেবল আদর্শ, কল্পনা আর স্বপ্ন ধ্বংস হয় না। একটা আদর্শের জন্য একজন মানুষের মৃত্যু হতে পারে—কিন্তু তার মৃত্যুর পর সেই আদর্শ হাজার হাজার লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।

 আদর্শের জন্য বেঁচে থাকা এবং মৃত্যু বরণ করার চেয়ে আরও শান্তির বিষয় আর কি আছে?... এর থেকেই বলা যায় যে ত্যাগ ও সহিষ্ণুতার মধ্য দিয়ে মানুষ কখনও হারায় না। এই জগতে যদি সে কিছু হাবায় তাহলে তার পরিবর্তে সে অমর জীবনের অধিকারী হতে পারবে।

 এই হল আত্মার কৌশল। দেশ যাতে বাঁচতে পারে তার জন্যে এক একজন মানুষ প্রাণ দেবে। ভারতবর্ষ যাতে বাঁচতে পারে এবং স্বাধীনতা ও গৌরবের অধিকারী হতে পারে তার জন্য আজ আমি প্রাণ বিসর্জন দোব।

 আমি আমার দেশবাসিদের বলছি—ভুলো না যে পরাধীন থাকা সবচেয়ে বড় অভিশাপ। অন্যায় এবং অধর্মের সঙ্গে আপোষ —তার থেকে বড় পাপ আর নেই।

 আজকের সরকারকে আমি বলছি তোমার সাম্প্রদায়িক এবং অন্যায় পথের উন্মত্ততা এখনও থামাও। তোমার ফিরবার সময় এখনও আছে। ব্যুমেবাং এর আশ্রয় নিয়ো না যেটা তোমার ওপরই ফিরে আসবে।

 আমার শেষ হয়েছে। আমার দ্বিতীয় ও শেষ অনুরোধ আমার শান্তিপূর্ণ শেষ জীবনে আপনারা জোর করে বাধা দেবেন না। ম্যাকসুইনী, যতীন দাস, মহাত্মাগান্ধী ও ১৯২৬ সালে আমাদের বেলায় সরকার অনশন ভঙ্গ করতে চেষ্টা

৭৮