পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১১

আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয় এই বিষয়ে অবহিত হন। তাঁহার প্রচেষ্টায় সুভাষচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হইতে আবার অধ্যয়ন করিবার অনুমতি লাভ করিলেন।

 সুভাষচন্দ্র এবার আর প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্ত্তি হইলেন না, তিনি স্কটিশ-চার্চ্চ কলেজে ভর্ত্তি হইলেন এবং ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে দর্শনশাস্ত্রের অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়া বি. এ. উপাধি লাভ করেন। অতঃপর তিনি ব্যবহারিক মনোবিজ্ঞানে এম্. এ. পড়িতে আরম্ভ করিলেন।

 সুভাষচন্দ্রের সমগ্র পরিবারই উচ্চশিক্ষিত। সুতরাং তাঁহারা সুভাষচন্দ্রের ন্যায় মেধাবী ছাত্রকে বাঙ্গালী জীবনের ইন্দ্রত্ব করিবার উদ্দেশ্যে, আই. সি. এস্. পরীক্ষার প্রস্তুত হইবার জন্য ইংলণ্ডে যাইতে আদেশ করেন।

 সুভাষচন্দ্র অভিভাবকের আদেশ কোন দিনই লঙ্ঘন করেন নাই; রণক্ষেত্রের সৈনিকের মত তিনি ঊর্দ্ধতন ব্যক্তির আদেশ চিরকালই অবনত মস্তকে পালন করিতেন। সুতরাং অভিভাবকের সন্তোষ-বিধানার্থ তিনি ১৯১৯ খৃষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ইণ্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের প্রতিযোগিতা-পরীক্ষা প্রদানার্থ ইংলণ্ড যাত্রা করেন।

 ইংলণ্ডে উপনীত হইবার আট মাস পরে তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা প্রদান করেন এবং গুণানুসারে চতুর্থ স্থান অধিকার করিয়া উত্তীর্ণ হন। মাত্র আট মাস পড়িয়া এইরূপ কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এতাদৃশ কৃতিত্ব প্রদর্শন সুভাষচন্দ্রের অসাধারণ প্রতিভার পরিচায়ক।