পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
8১

আন্দোলন দমন করিতে সচেষ্ট হইলেন। মহাত্মার সহিত আলাপ-আলােচনা করিয়া তিনি এইটুকু ব্যবস্থা করিলেন যে, মহাত্মা তাঁহার অসহযােগ-আন্দোলন বন্ধ করিবেন এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে বিলাতে দ্বিতীয় গােলটেবিল-বৈঠকে যােগদান করিবেন। গভর্ণমেণ্টও সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রতিশ্রুত হইলেন। মহাত্মা গান্ধীর সহিত লর্ড আরউইনের এই চুক্তির ফলে সুভাষচন্দ্র পূর্ণদণ্ড ভােগের পূর্ব্বেই, ৮ই মার্চ্চ তারিখে মুক্তিলাভ করিলেন।

 গান্ধী ও লর্ড আরউইনের চুক্তি সম্পর্কে আলাপ-আলােচনার সময় একদল উগ্রপন্থী কংগ্রেস-কর্ম্মী তখন মহাত্মাকে অনুরােধ করে যে, পাঞ্জাব-ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ভগৎ সিংএর মুক্তির জন্যও তিনি যেন চেষ্টা করেন।

 ভগৎ সিং পাঞ্জাব পরিষদ-কক্ষে বােমা নিক্ষেপ করিয়া ধৃত হইয়াছিলেন। বড়লাট তাঁহার মুক্তির কোন বন্দোবস্ত করিলেন না; তাঁহার মুক্তির প্রশ্ন পাঞ্জাব-গভর্ণমেণ্টের ব্যাপার বলিয়া, তিনি এড়াইয়া যাইবার চেষ্টা করিলেন। ইহা সত্ত্বেও মহাত্মা গান্ধী যে লর্ড আরউইনের সহিত চুক্তি-বদ্ধ হইলেন এবং অসহযােগ-আন্দোলন বন্ধ করিয়া গােলটেবিলবৈঠকে যােগদান করিতে সম্মত হইলেন, ইহাতে দেশের যুব-সম্প্রদায় বিশেষ ক্ষুব্ধ হইলেন। তাঁহারা করাচিতে কংগ্রেসের অধিবেশন-কালে, প্রায় পাশাপাশি ‘নও-জোয়ান-কংগ্রেস’ নামে অপর একটি সম্মেলন আহ্বান করিলেন।

 তরুণ সম্প্রদায়ের এই সম্মেলনে সুভাষচন্দ্র সভাপতি