পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৭৩

কর্ত্তব্যপরায়ণ দায়িত্বশীল পুলিশ কর্ম্মচারীদের স্মৃতিপটে ইহা গভীর কলঙ্ক ও ব্যর্থতার ইতিহাস-রূপে চিরদিনই তাহাদিগকে নির্ম্মম কশাঘাত করিবে।

 নিরুদ্দিষ্ট সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে কিছুকাল নানা জনরব ও নানা গবেষণাই চলিতেছিল; কিন্তু কেমন করিয়া, কোন্ উপায়ে তিনি তাঁহার প্রহরী-বেষ্টিত গৃহ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয়াছিলেন, অনেক-কিছু সে সম্পর্কে প্রচারিত হইলেও, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস—সুভাষচন্দ্রের নিজ মুখ হইতে তাঁহার অন্তর্দ্ধানের পরিপূর্ণ বিবরণ যদি কখনও শুনিবার সৌভাগ্য আমাদের হয়, তবে তাহাই হইবে প্রামাণ্য; এবং তাহা এতাবৎকালে প্রকাশিত যাবতীয় বিবরণ, এমন কি,— অনেক চমকপ্রদ গোয়েন্দা-কাহিনীর শিহরণ এবং কৌতূহলকেও তুচ্ছ ও নিষ্প্রভ করিয়া দিবে!

 সুবিখ্যাত আকালী নেতা, মাষ্টার তারা সিং তাঁহার “শান্ত্ সিপাহী” নামক মাসিক কাগজে সুভাষচন্দ্রের অন্তর্দ্ধান-সম্পর্কে যে বিবরণ প্রকাশ করিয়াছিলেন, সম্ভবতঃ তাহাই আমাদের সর্ব্বপ্রথম বিশ্বাসযোগ্য বিবরণ।

 তিনি লিখিয়াছিলেন যে, সুভাষচন্দ্রের নিরুদ্দেশ-সংবাদ ২৬শে জানুয়ারী প্রকাশিত হইলেও, প্রকৃতপক্ষে তিনি তাঁহার এল্‌গিন্ রোডের গৃহ হইতে বাহির হইয়াছিলেন তাহার বহু পূর্ব্বে,—১৯৪০ সালের ১৩ই ডিসেম্বর তারিখে।

 সম্ভবতঃ তিনি তাহারও অনেকদিন আগে হইতেই পলায়নের সঙ্কল্প করিয়াছিলেন, এবং সেই উদ্দেশ্যে নির্জ্জন