বাধ্য করেন। বিহার সকল ধ্বংশ করেন। বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভিক্ষুনীদিগের বিবাহ দেন। প্রায় ৮৪০০০ বৌদ্ধ গ্রন্থ ধ্বংশ করেন। দেব মন্দিরে বলি আরম্ভ হয়, নেপালে বৌদ্ধ ধর্ম্মের পরিবর্তে শৈব ধর্ম্ম প্রবর্ত্তিত হয়। ইহাও কথিত আছে বিক্রমাদিত্য তাঁহার শকাব্দ নেপালে প্রচলিত করিয়া, ভাটগাঁওএ সূর্য্য বিনায়ক নামে যে গণেশ মূর্ত্তি আছে তাহা তিনি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। শঙ্করাচার্য্যের পূর্ব্বে হর্ষবর্দ্ধন বা শিলাদিত্য নেপালে গমন করিয়াছিলেন এরূপ উক্ত আছে।—
সূর্য্যবংশের পর
৬। ঠাকুরী বংশ—
৭। রাজপুত বংশ—
৮। কর্ণটকী বংশ—
৯। মল্লরাজ বংশ।
ঠাকুরী রাজা গুণ কর্ম্মদেবের রাজত্ব সময়ে একদা তিনি মহালক্ষীর পূজা করিতেছিলেন, এমন সময় স্বপ্নে দেবী তাঁহাকে দেখা দিয়া বলিলেন, বাঘমতী এবং বিষ্ণুমতী নদীর সঙ্গম স্থলে এক সহর নির্ম্মাণ করিতে হইবে, পুরাকালে এই স্থলে নীমুনি তপস্যা করিয়াছিলেন। এই নূতন সহরের আকৃতি দেবীর খড়্গের ন্যায় হইল। রাজা ইহার নাম কান্তিপুর রাখিলেন। শুভ লগ্নে রাজা পাটন হইতে কান্তিপুরে রাজধানী পরিবর্ত্তিত করিলেন। সহরে ১৮০০০ গৃহ নির্ম্মিত হইল। লক্ষ্মী প্রতিজ্ঞা করিলেন যতদিন না ঐ সহরে দিন লক্ষ টাকার কারবার হয়, ততদিন সেখানেই অধিষ্ঠান করিবেন। রাজা