পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গুর্খা বিজয়

 গুর্খারাজগণ উদয়পুরের রাজপুত বংশােদ্ভব বলিয়া আপনাদিগের পরিচয় দেন। মুসলমানদিগের অত্যাচারে উদয়পুর ত্যাগ করিয়া ইঁহাদিগের পূর্ব্বপুরুষগণ হিমালয়ের দুর্গম প্রদেশে রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। পালপার নিকট গােরখালী নামক স্থানে বাস করিতেন বলিয়া, ইহারা আপনাদিগকে গােরখালি বা গুর্খা নামে অভিহিত করিতেন। গুর্খাগণ ক্রমে সপ্তগণ্ডকী দেশে রাজ্য বিস্তার করিল। গুর্খাগণ সর্ব্বদাই প্রতিবেশী রাজ্যসমূহে উৎপাত করিত। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে পৃথ্বীনারায়ণ নামে এক রাজা গুর্খার সিংহাসনে আরােহণ করেন। ইনি অতি ক্ষমতাশালী পুরুষ ছিলেন। সিংহাসনে আরােহণ করিয়া ইঁহার দেশজয় পিপাসা অত্যন্ত বলবতী হইয়া উঠিল। পৃথ্বীনারায়ণ নেপাল জয় করিয়া নেপালের সহিত গুর্খারাজ্য মিলিত করেন। অনেকদিন হইতে ইংরাজের সহিত নেওয়ারদিগের ব্যবসাগত সম্বন্ধের সূত্রপাত হইয়াছিল, সেই হেতু পৃথ্বীনারায়ণ যখন নেপাল আক্রমণ করিলেন তখন কাটমুণ্ডের মল্লরাজ ইংরাজদিগের সহায়তা ভিক্ষা করিয়াছিলেন। সেই সময় পাটনে একটী রােমান কাথলিকদের মিশন ছিল এবং সেখানকার অধ্যক্ষ ফাদার গায়সপি (Father Guesseope) গুর্খাবিজয় ব্যাপার স্বচক্ষে দর্শন করিয়াছিলেন। তাঁহাদিগের বৃত্তান্ত হইতে সেই সময়কার অনেক ঘটনা জ্ঞাত হওয়া যায়। পৃথ্বীনারায়ণ যে সময় নেপাল আক্রমণ করেন