বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের পূজা পার্ব্বণ ও জাতীয় উৎসব।
৬১

 ১৮। শণেশ চৌথ—৪ঠা মাঘ উপবাসান্তে সকলে উত্তম আহার করিয়া থাকে।

 ১৯। বসন্ত শ্রীপঞ্চমীর উৎসব।

 ২০। মাঘীপূর্ণিমা—যাঁহারা সমুদায় মাঘমাস বাঘমতীর জলে অবগাহন করিয়া স্নান করেন, তাঁহাদিগকে সংক্রান্তির দিন ডুলিতে করিয়া দেব মন্দিরে লইয়া যাওয়া হয় এবং তাঁহাদের বক্ষে, হস্তে, চরণে প্রজ্বলিত প্রদীপ দেওয়া হয়। নেপালের দুরন্ত শীতে বাঘমতীর হিম জলে অবগাহন বড় সহজ ব্যাপার নহে।

 ২১। হোলি বা বসন্ত উৎসব—ফাল্গুনের সংক্রান্তির দিনে রাজবাটীর সম্মুখে একটা কাষ্ঠের স্তম্ভে নানাবিধ পতাকা প্রোথিত করিয়া রাখা হয়। নেপালে হোলি রাজবাটীরই উৎসব। সকলে শুভ্র বসন পরিধান করিয়া রাজবাটীতে গমন করেন। সেখানে সকলে সকলকে ফাগ দিয়া রঞ্জিত করে। স্বয়ং রাজাধিরাজ মন্ত্রী প্রভৃতির সহিত মহোৎসাহে ফাগ খেলা করেন। সাধারণ লোকে ফাগ খেলা করে না। রাজবাটীতেই ফাগখেলার স্থান।

 ২২। ১৫ই চৈত্র ঘোড়াযাত্রা—এই দিবস রাজা মন্ত্রী ও প্রধান প্রধান রাজকর্ম্মচারীগণ টুনিখেলে সমবেত হন এবং তাঁহাদের সম্মুখে ঘোড়দৌড় হয় এবং নানাবিং ব্যায়াম কৌশল প্রদর্শিত হয়। ঘোড়াযাত্রার পর নেপালীগণ দুই দিন জুয়া খেলায় মত্ত হয়। এই সময়ও দীপান্বিতা ভিন্ন অন্য সময় জুয়া খেলিলে দণ্ডার্হ হইতে হয়।