বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের প্রাকৃতিক বিবরণ।
৬৫

হইতে কাটমণ্ডু আসিতে হইলে কুটী এবং কিরাং পাশই সর্ব্বাপেক্ষা প্রশস্ত পথ। কুটী পাশ দিয়া ৪৫ দিনের মধ্যে পদব্রজে লাশা যাওয়া যায়। এ পথে, অশ্বারােহণে যাওয়া সম্ভব নয়। কুটী পাশ কাটুমণ্ডু হইতে ৯০ মাইল এবং কিরাং পাশ ১০০ মাইল হইবে। কিরাং পাশ দিয়া অশ্ব সকল অনায়াসে গমনাগমন করে, এই কারণে কিরাং পাশই বাণিজ্যোদ্দেশে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। কিরাং পাশ দিয়া লাশা যাইতে ৭।৮ দিন লাগিয়া থাকে। একবার হিমাচল পার হইলে তীব্বতের পথ অতি সুগম হইয়া পড়ে, তখন আর যাত্রীগণের কোন কষ্টই হয় না।

 ৫। হাতীয়া পাশ।—কুটী পাশের ৪০/৫০ মাইল পূর্ব্বে হাতীয়া পাশ। হাতীয়া পাশ দিয়া কুশীর একটী শাখা নেপালে আসিয়া পতিত হইয়াছে।

 ৬। ওয়ানাং পাশ নেপালের পূর্ব্বতম গিরিপথ। কাঞ্চনজঙ্ঘার পশ্চিমে ইহা অবস্থিত।

 এই সকল গিরিপথ কেবল তীব্বতের লােকদিগের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। কাঠমণ্ডু উপত্যকায় শীতকালে দলে দলে তীব্বতীয়গণ বাণিজ্য দ্রব্য লইয়া আগমন করে। নানাবিধ কম্বল, পার্ব্বত্য অশ্ব, কুকুর, মেষ, ছাগল, নানাবিধ প্রস্তর, চামরীর পুচ্ছ, স্বর্ণ, রৌপ্য, মৃগনাভি, লবণ, প্রভৃতি তীব্বতীয়গণ নেপালে লইয়া আসে। নেপাল হইতে অনেক লােক এবং কাশ্মিরীগণ কিরাং ও কুটী পাশ দিয়া লাশায় গিয়া থাকে।