পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈৰোদ্য সাধ্য র্তাহার ছিল না। র্তাহার কোন আত্মীয় কলিকাতার একটি ছাপাখানার অধ্যক্ষ ছিলেন ; শ্বশুর মহাশয় আমার জন্য তঁহাকে ধরিলেন। ছাপাখানার কর্তমহাশয় দয়াপরবশ হইয়া আমাকে কলিকাতায় লইয়া bलित्लन, उाभांब्र औी ऊँiशब्र श्रिल्यांठाए थे ब्रश्लिन। আমার মত বিদ্যাবুদ্ধি-সম্পন্ন যুবককে ছাপাখানার ম্যানেজার যে কৰ্ম্ম দিতে পারেন, অনুগ্ৰহ করিয়া তিনি আমাকে তাহাই যোগাড় করিয়া দিলেন। একটি ছাপাখানায় কিছুকাল শিক্ষানবিশী করিয়া আমি ছাপাখানার ভূতের দলে প্ৰবেশ করিলাম। সংসার-সাগরে ভাসিতে ভাসিতে যে তৃণ পাইলাম, তাহাই অবলম্বন করিলাম। কিছুদিন পরে মাসিক পািনর টাকা বেতনে সরকারী ছাপাখানায় এক কম্পোজিটারের কাজ জুটিয়া গেল। আমি যে সময়ের কথা বলিতেছি, সে সময়ে পাশের মূল্য পািনর টাকায় নামে নাই । আমার বাবা চিরদিন সাতটাকা বেতনে তহশিলদারী কৰ্ম্ম করিয়া আসিয়াছেন, আমি অল্পদিনের মধ্যে র্তাহার ডবল মূল্যের চাকরী পাইয়া নিজের অদৃষ্টকে ধন্যবাদ করিলাম। কখন কখন অতিরিক্ত দুই চারি ঘণ্টা খাটিতে হইত, কিন্তু সে জন্য আক্ষেপ ছিল না ; দুই পয়সা অতিরিক্ত আয়ের সম্ভাবনা দেখিলে মানুষ সকল রকম কষ্টই সহ্য করিতে পারে ; আমিও সংসার-সুখের আশায় মুগ্ধ হইয়া পরিশ্রমে কোন দিন পশ্চাৎপদ হই নাই। স্ত্রীকে আর কতদিন বাপের বাড়ী ফেলিয়া রাখিব ? ভাবিলাম কষ্টেসূষ্ট্রে এই সামান্য আয়েই আমাদের দুজনের চলিয়া যাইবে। সুলোচনাকে কলিকাতায় আনিলাম। কলিকাতার তালতলায় একখানি ছোট খোলার বাড়ী ভাড়া লইয়া তাহাতেই দুজনে বাস করিতে লাগিলাম। অর্থকষ্টের