পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মচারিণী । মধ্যে মধ্যে মনে হয় বই কি ? কিন্তু তাহদের বিশেষ কোন খবর রাখি না। আমারই অনেক সময়ে মনে হয় যে, আমার প্রকৃতিটা যেন কেমন, কিছুরই সঙ্গে খাপ খায় না । দাদাও ঐ কথাই বলেন। তা কি করিব, ভগবান আমাকে এই ছাচেই ঢালিয়াছেন । যথাসময়ে কাছারী যাই, কাজ কৰ্ম্ম থাকিলে করি, আর না থাকিলে বার লাইব্রেরীতে বসিয়া খবরের কাগজ পড়ি ; তাহার পর বাসায় আসিয়া পড়া শুনা করি ; ছুটীর সময়ে গয়ায় দাদার কাছে যাই। মা, বৌদিদি, দিদি সকলেই অসন্তুষ্ট ; আমার বিবাহের কথা কাণে না তোলা, আমার পক্ষে একটা অমার্জনীয় অপরাধ বলিয়া তাহারা মনে করেন। গত পূজার বন্ধ হইবার তিন দিন পূর্বে একদিন বেলা এগারটার সময় একজন ডাকপিয়ন বার লাইব্রেরীতে আসিয়া আমার অনুসন্ধান করিতেছিল। আমি তখন এক পাশ্বে বসিয়া একখানি খবরের কাগজ পড়িতেছিলাম ; আমার মত আর একজন জুনিয়ার তখন গুড়কে বুদ্ধি গম্ভীর করিয়া তুলিতেছিলেন। তিনি আমাকে সনাক্ত করিয়া দিলে পিয়ন আমার হাতে একখানি পত্ৰ দিল। কাছারীর ঠিকানায় আমার কোন পত্র আসে না, সুতরাং তাড়াতাড়ি পত্ৰখানি লইয়া দেখি, উপরে অপরিচিত বাঙ্গালা অক্ষরে আমার নাম লেখা, ঠিকানা। “জুনিয়ার উকিল, কলিকাতা, আলিপুর।” লেখা পুরুষের নয়, তাহা দেখিবামাত্রই বুঝিলাম ; কিন্তু স্ত্রীলোকের মধ্যে দিদি ও বৌদিদি আমাকে পত্র লিখেন; র্তাদের হাতের লেখা আমি বেশ চিনি। আর তারা এমন অদ্ভুত ঠিকানায় পত্ৰ লিখিবেন কেন ? তাড়াতাড়ি পত্ৰখানি হাতে করিয়া লাইব্রেরীর বারান্দায় আসিলাম। পত্ৰ খুলিয়াই আগে লেখিকার নাম দেখিতে গেলাম । সহি রহিয়াছে “হতভাগিনী সুপ্ৰভা।” সুপ্ৰভা ! è o è